আবর্জনার ভাগাড় ঘোড়াঘাটের বলগাড়ী হাট-বাজার
দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের বলগাড়ি হাট-বাজারটি এখন ময়লা আর্বজনার ভাগাড়। এ হাটে ময়লা-আবর্জনা পরিস্কারের দিকে কারো নজর নেই। এতে পরিবেশ দূষণের সাথে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন এলাকাবাসী। ডেঙ্গুসহ নানা ধরনের ভাইরাসজনিত রোগের বিস্তার ঘটছে
জানা যায়, ঘোড়াঘাট উপজেলার বলগাড়ি হাট-বাজারটি সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে এক বছরের জন্য লীজ নেয় মো. সাবু মিয়া। শর্ত অনুযায়ী ইজারাদার নিজ খরচে হাট বাজার পরিষ্কার পরিছন্নতা রাখার নিয়ম থাকলেও তিনি তা মানছেন না।
হাটে দেখা গেছে, মাছ বাজারে গরুর সেড তৈরী করে গরু লালন পালন করছেন সোহেল মিয়া। মাকসুদর রহমান নামে আর এক ব্যবসায়ী কাঠের আসবাবপত্র তৈরীর কাজে ব্যবহার করছেন। পাইকারী কাঁচা বাজারে গড়ে তোলা হয়েছে ময়লার ভাগাড়, গোবরের পালা। হাট ইজারাদারের সহায়তায় পাইকারী কাঁচা বাজারে নুরুল হক ও মাকসুদুল গরু লালন পালনের কাজে ব্যবহার করছেন। স্থানীয় লোকজন এর পাশ দিয়ে দুর্গন্ধের কারণে নাক চেপে ধরে হেটে যেতে দেখা যায়। হাটের একমাত্র পাবলিক টয়লেট ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এছাড়াও বাজারের পানি নিষ্কাশনের ড্রেনে ময়লা অবর্জনা ফেলার কারণে ভরাট হয়ে গেছে।
হাট ইজারাদার মো. সাবু মিয়া বলেন, আমি নিয়মিত হাটবাজার পরিষ্কার পরিছন্নতা করছি, কোথাও ময়লা আবর্জনা নেই, আমার তো চোখে পড়ছেনা। ময়লা আর্বজনা দেখাতে পারলে তা পরিষ্কার করে দিব।
এব্যাপারে ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বলগাড়ী হাটের পরিষ্কার পরিছন্নতার অভাবের বিষয়টি অবগত আছি। হাটের শর্ত অনুযায়ী ইজারাদের নিজ খরচে হাট বাজার পরিষ্কার পরিছন্ন রাখবেন। সরকারি নির্দিষ্ট জায়গায় ময়লা আবর্জনা ফেলবেন। বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি বিষয়টি দেখভাল করার কথা। হাটের জায়গায় কেউ যদি অবৈধ দখল করে থাকে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।