ইউক্রেনকে গুচ্ছ বোমা সরবরাহ: বেঁকে বসেছে মার্কিন মিত্ররা
রাশিয়াকে রুখতে ইউক্রেনকে গুচ্ছ বোমার মতো দীর্ঘস্থায়ী ঝুঁকি তৈরি করা মারণাস্ত্র সরবরাহ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে এমন নিশ্চয়তা আসার পর অনেক মার্কিন মিত্রই এই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে গুচ্ছ বা ক্লাস্টার বোমা পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে। সাথে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একে কঠিন সিদ্ধান্ত বলেও অভিহিত করেছেন। হোয়াইট হাউজের দাবি, ইউক্রেনে এই অস্ত্র বিস্তৃত পরিসরে ব্যবহার করছে রাশিয়া। ফল স্বরূপ যুক্তরাষ্ট্র এই অস্ত্র ইউক্রেনকে সরবরাহ না করলেও দেশটির এ ধরনের অস্ত্রের দরকার পড়বে।
এই মার্কিন সিদ্ধান্তের পর যুক্তরাজ্য, কানাডা, নিউজিল্যান্ড ও স্পেনের মতো মার্কিন মিত্ররা জানিয়েছে, তারা কোনোভাবেই এই সিদ্ধান্ত মেনে নিচ্ছে না। তারা এমন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে।
ভয়াবহতা বিবেচনায় বিশ্বের শতাধিক দেশ গুচ্ছ বোমার ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। এই ধরনে বোমা বাছবিচার ছাড়াই বিস্তৃত এলাকাজুড়ে হত্যাযজ্ঞ চালাতে পারে।
বিস্ফোরণের হারের কারণেই এই বোমা প্রশ্নবিদ্ধ। অতীতে দেখা গেছে, আকাশ থেকে ভূমিতে ছোড়া এমন অনেক বোমা অবিস্ফোরিত অবস্থায় বছরের পর বছর থেকে গেছে। যা দীর্ঘ মেয়াদে বিস্তৃত এলাকা জুড়ে বেসামরিক নাগরিকদের জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করে।
যদিও বাইডেন দাবি করেছেন, মিত্রদের সাথে আলোচনা করেই নতুন ৮০০ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা প্যাকেজের আওতায় ইউক্রেনকে এই ধরনের অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে।
মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও মার্কিন এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে। সংস্থাটি বলছে, এটা বেসামরিক নাগরিকদের জীবন ভয়াবহ হুমকিতে ফেলবে। এমনকি সংঘাত শেষ হওয়ার পরও এই ঝুঁকি থেকে যাবে বহুদিন।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, গুচ্ছ বোমা নিষিদ্ধকরণে সম্মত হওয়া ১২৩ দেশের তালিকায় তার দেশও আছে।
সূত্র: বিবিসি