ইউক্রেনে কেন প্রথমবারের মতো কিনজাল ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল রাশিয়া?

অনলাইন ডেস্ক

বৃহস্পতিবার সকালে ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহরজুড়ে ৮১টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রাশিয়া। এরমধ্যে ৬টি কিনজাল মিসাইলও ছিল।

সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়ার এই কিনজাল ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ফাঁকি দিতে সক্ষম হয়েছে।

ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর কমান্ডার ইউরি ইহনাত বৃহস্পতিবার টেলিভিশনে বলেন, ‘হামলা সত্যিই অনেক বড় ছিল। প্রথমবারের মতো রাশিয়া নতুন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। কমপক্ষে ৬টি কিনজাল ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। পূর্বে এই ধরনের আক্রমণ দেখেননি জানিয়ে ইউক্রেনের এই কমান্ডার বলেন, এখন পর্যন্ত এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধের মতো সক্ষমতা আমাদের নেই।’
বৃহস্পতিবার যে কিনজাল ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে রাশিয়া এটাকে ‘হাইপারসনিক অস্ত্র’ বলে অভিহিত করে থাকে। তবে রাশিয়ার আকাশে এই ক্ষেপণাস্ত্র খুব কমই দেখা গেছে।

সেন্টার ফর স্ট্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাডিজ জানিয়েছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ায় সর্বশেষ গত মার্চ এবং মে’ তে ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছিল। সংস্থাটি বলছে, ইউক্রেনে এই অস্ত্রের ব্যবহার ক্রেমলিনের কৌশলের পরিবর্তনকে নির্দেশ করছে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আকাশ থেকে নিক্ষেপযোগ্য ইস্কানদার টাইপের স্বল্প দূরত্বের এই ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০১৮ সালে উন্মোচন করেছিলেন।

সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, সকল ব্যালেস্টিক মিসাইলের মতো কিনজালও হাইপারসনিক টাইপের ক্ষেপণাস্ত্র। এর অর্থ – ‘এটা শব্দের থেকে অন্তত ৫ গুণ বেশি গতিতে ছুটতে সক্ষম। বিশেষভাবে এটা শনাক্ত করাও কঠিন কারণ, যুদ্ধবিমান মিগ-৩১ থেকে এটা নিক্ষেপ করা যায়। একাধিক নির্দেশনা থেকে এটা দীর্ঘ দূরত্বে হামলা করতে পারে। ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ—এই দুই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রই পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights