ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিয়ে উত্তপ্ত ব্রিটেন!
আ স ম মাসুম, যুক্তরাজ্য
ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের সংঘাত নিয়ে ব্রিটেনে চলছে উত্তপ্ত অবস্থা। একদিকে ইসরায়েলের পক্ষে ব্রিটিশ সরকারের কঠোর অবস্থান, অপরদিকে সাধারণ জনগণের ফিলিস্তিনের পক্ষে সংহতি।
লন্ডনে গত শনিবার ৩০ হাজার মানুষ যোগ দেন ফিলিস্থিনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে। বিবিসির কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে তারা র্যালি বের করেন। তা সেন্ট্রাল লন্ডনের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৌঁছে যায় নাম্বার ১০-ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে।
এদিন অনেকেই ফিলিস্তিনের হামাসের পোশাক পরে র্যালিতে অংশ নেন। সেই র্যালি থেকে ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের আপাতত জামিন দেওয়া হলেও পরবর্তী তারিখ ২ নভেম্বর কোর্টে হাজির হওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এদিকে ব্রিটিশ সরকার ইসরায়েলের পক্ষে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তার বাসভবনে ইসরায়েলের পতাকা আলো দিয়ে ফুটিয়ে তুলে হামলার প্রথম দিন থেকে দেশটির সাথে আছেন বলে বার্তা দেন। এরপর তার অফিসিয়াল বার্তায় জানান, প্রয়োজন হলে মিলিটারি সাপোর্ট দেওয়া হবে। পাশাপাশি মিত্র দেশগুলোর সাথে তারা একযোগে ইসরায়েলের জন্য কাজ করবেন বলে জানান।
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারম্যান ১০ অক্টোবর এক বার্তায় লন্ডনের মেট পুলিশের হেড কনস্টেবলদের বলেন, ব্রিটেনের রাস্তায় ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়ানো বা টাঙানো ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে।
অপরদিকে এমন ঘোষণার পর যেন সাধারণ মানুষের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন সুয়েলা ব্রাভারম্যান। লন্ডনের বিভিন্ন রাস্তায় টাঙানো হচ্ছে ফিলিস্তিনের পতাকা। বাংলাদেশি এলাকা পূর্ব লন্ডনের ক্যানন স্ট্রিট, শ্যাডওয়েল, পপলার হাই স্ট্রিট ইত্যাদি সড়কের ল্যাম্পপোস্টে টাঙানো হয়েছে ফিলিস্তিনের পতাকা।
১৪ অক্টোবর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারম্যান নতুন এক বার্তায় বলেন, যারা ইসরায়েলে মানুষ হত্যা নিয়ে কটাক্ষ করবে, এমনকি ইসরায়েলে মানুষ হত্যাকে সমর্থন করবে, তাদের পেছনে পুলিশ আসছে! মূলত ১৪ অক্টোবর লন্ডনের প্রতিবাদ সভায় হামাসের প্যারাগ্লাইডার পরে এসেছিলেন অনেকে। এই লাল রংয়ের প্যারাগ্লাইডার পরে ইসরায়েলের ওপর হামলা করে হামাস। এরপরই সুয়েলা বেশ কঠোর বার্তা দিলেন।
এদিকে ব্রিটিশ ইমিগ্রশন মিনিস্টার রবার্ট জেনরিক ১২ অক্টোবর আরেক বার্তায় বলেন, যাদের স্টুডেন্ট ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিটে আছে, মানে যাদের ভিসা রেস্ট্রিকশনে আছে তারা যদি হামাসের পক্ষে অবস্থান নিয়ে লেখালেখি বা কার্যক্রম করেন তাহলে তাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করে দেশ থেকে বিতাড়িত করা হবে। ইতোমধ্যে ফ্রান্স থেকে ৩ জনকে একই ধরনের অভিযোগে দেশ থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। ব্রিটেনে একজনের বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানা গেছে।