ঋণে জর্জরিত ৬ কোটি আমেরিকান

লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র
নিউইয়র্কস্থ ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে ৬ কোটি মানুষের ক্রেডিট কার্ডে ঋণের পরিমাণ বেড়ে ১.২১ ট্রিলিয়ন ডলারে উঠেছে। এ ছাড়া গত বছর ঋণের দায় বেড়েছে ৪২ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ আগের ঋণের সাথে ৭.৩ শতাংশ যোগ হয়েছে। উল্লেখ্য, ক্রেডিট কার্ডের ঋণ ট্রিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে ২০২৩ সালে।

ক্রেডিট কার্ডের গতি-প্রকৃতি নিয়ে বিশ্লেষণকারী সংস্থাগুলোর প্রধান ম্যাট স্কালজ বলেন, মুদ্রাস্ফীতির যাতাকলে পড়েছে বিরাটসংখ্যক আমেরিকান। একইসঙ্গে ক্রেডিট কার্ডের সুদের হার গড়পড়তা ২০ শতাংশ বৃদ্ধিকেও দায়ী করা হচ্ছে। আর এ বৃদ্ধি ঘটছে চক্রবৃদ্ধি হারে।

ফেডারেল ব্যাংক প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ১৮ ট্রিলিয়ন ডলারের ঋণ নিয়েছেন আমেরিকানরা। এর মধ্যে বাড়ি-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে ১২.৬ ট্রিলিয়ন ডলার, গাড়ি ক্রয়ের জন্যে ১.৬৫ ট্রিলিয়ন ডলার, স্টুডেন্ট লোন ১.৬১ ট্রিলিয়ন ডলার ও ১.২১ ট্রিলিয়ন ডলার হচ্ছে ক্রেডিট কার্ডের ঋণ। অবশিষ্ট ঋণ হচ্ছে ছোট-খাটো সহায়-সম্পদের বিপরীতে।

গত বছর পুরনো ঋণের সাথে ১১ বিলিয়ন ডলারের সুদ যোগ হয়েছে মর্টগেজ বাবদ। এ সেক্টরের চক্রবৃদ্ধি সুদের হার সবচেয়ে বেশি। ২০২৩ সাল থেকে গত বছর পর্যন্ত এ খাতে বেড়েছে মোট ৩৫৩ বিলিয়ন ডলালের ঋণ। মুদাস্ফীতির কারণে আমেরিকানদের ক্রেডিট কার্ডের ঋণ গত বছর বেড়েছে ৭ শতাংশ। এসব কার্ডে বকেয়ার পরিমাণ ৯০ দিনের বেশি হওয়ায় চক্রবৃদ্ধি লোনে তার প্রভাব পড়ছে।

ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের মতে, মর্টগেজ খাতে ৫ শতাংশ এবং অন্য সকল প্রকারের ক্রেডিট কার্ডে ১০ শতাংশ ঋণ বেড়েছে গত বছর। ৩.৬ শতাংশ ঋণ পরিশোধের সময় ৯০ দিনেরও আগে ফুরিয়ে গেছে। তবুও আদায় করা সম্ভব হচ্ছে না ঋণ গ্রহণকারীর সক্ষমতা না থাকায়।

এমন অবস্থায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শিগগিরই ব্যাঙ্ক্রাপসী আইনকে আরও সহজ করার কথা ভাবছে বলে শোনা যাচ্ছে। অন্যথায় ঋণ প্রদানকারী সংস্থাগুলোর টিকে থাকাটা অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights