একাকীত্ব থেকে কুকুরের সঙ্গে বন্ধুত্ব

অনলাইন ডেস্ক

বিশ্বের সবচেয়ে নিঃসঙ্গ দেশগুলোর মধ্যে একটি হলো দক্ষিণ কোরিয়া। বিশ্বের সর্বনিম্ন জন্মহার রয়েছে এ দেশে। সেখানে মিলছে না মানুষ সঙ্গী। ফলে এখানকার বেশির ভাগ মানুষ একা থাকেন। এ পরিস্থিতিতে দেশটিতে পরিবারের সদস্য হয়ে উঠেছে কুকুর।

১৩ বছর ধরে কিম সিওনের সঙ্গে বাস করত সাদা লোমযুক্ত ডালকং নামে একটি কুকুর। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হঠাৎ মারা যায় কুকুরটি। একে বিদায় জানাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ৭১ বছর বয়সী কিম। তিনি বলেন, ১৩ বছর ডালকংয়ের সঙ্গে বসবাস করেছি। আমরা পরিবার ছিলাম।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দক্ষিণ কোরিয়ার লোকেরা পোষা প্রাণী, বিশেষ করে কুকুরের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন বেশি। বেশির ভাগ কোরিয়ান অবিবাহিত থাকছেন। এ ছাড়া নিঃসন্তান থাকতেও পছন্দ করছেন। ফলে সাহচর্য পেতে পোষা প্রাণীর প্রতি ঝুঁকছেন তারা।
কিছুদিন আগে কুকুরের মাংস খাওয়ার জন্য দক্ষিণ কোরিয়া প্রায়ই বিশ্বব্যাপী শিরোনাম হতো। এতে প্রাণী সংরক্ষণ গোষ্ঠীগুলোর ক্ষোভের মুখে পড়তে হতো সেখানকার নাগরিকদের। কিন্তু এই ধারা এখন বদলাচ্ছে। দেশটিতে নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে কুকুরের মাংস খাওয়া। এমন সিদ্ধান্তের কারণে দীর্ঘদিনের বিতর্কিত ঐতিহ্যের অবসান ঘটতে যাচ্ছে দেশটির। এর প্রতিবাদে মাথা ন্যাড়া করে বিক্ষোভ করেছেন কুকুরের মাংস শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। সূত্র : নিউইয়র্ক টাইমস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights