কনকনে শীতে কাহিল কুড়িগ্রামের মানুষ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

উত্তরীয় হিমেল হাওয়া ও শীতের ঠাণ্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে উত্তর জনপদ কুড়িগ্রামের মানুষ। গত তিন দিন ধরে তাপমাত্রা ১০ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলার তাপমাত্রা ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তবে এ তাপমাত্রা আরো কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি। এই জানুয়ারি মাসে ১-২টি শৈত্য প্রবাহের সম্ভবনাও রয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

এদিকে,ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমতে থাকায় জেলায় শীতের তীব্রতা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। শীতের তীব্রতা মৃদু শৈত্যপ্রবাহের দিকে যেতে চলেছে।অতি ঠান্ডায় ব্যাহত হচ্ছে জেলার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। জুবুথুবু হয়ে পড়েছে এখানকার জনজীবন। তবে গত কয়েকদিনের তুলনায় বৃহস্পতিবার কুয়াশা কমলেও ঠান্ডার মাত্রা বেড়েছে। রাতভর বৃষ্টির মত ফোটা ফোটা করে কুয়াশা পড়লেও সকালে এর প্রভাব কমে যায়। ফলে শীতে কাবু হয়ে পড়েছে এ জেলার মানুষ।বিশেষ করে নিম্ন আয়ের শ্রমিক ও দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষগুলো পড়েছে বিপাকে।শিশু ও বৃদ্ধদের কষ্ট বেড়েছে। গবাদি পশুগুলো ঠান্ডায় অনেক কষ্টে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন ধরলা,তিস্তা,ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী মানুষগুলো। নদী পাড়ে হিমেল হাওয়ায় এখানকার মানুষগুলোর কষ্টের সীমা নেই।অনেকেই খরকুটো জ্বালিয়ে ঠান্ডা নিবারণের চেষ্টা করছে।
রাজারহাট উপজেলার নাজিম খান ইউনিয়নের হোটেল শ্রমিক চাদ মিয়া জানায়,আমি কুড়িগ্রামের একটি হোটেলে কাজ করি।খুব ভোরে রওনা দিয়ে সকালে এসে কাজ ধরতে হয়। ঠান্ডার কারণে হাত পা ঠান্ডা হয় এবং টাটানি চলে। ঠান্ডা বাড়ার কারনে কাজে যেতে কষ্ট হয়। এদিকে,অতিরিক্ত ঠান্ডায় আড়াইশ শয্যার জেনারেল হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে প্রতিদিন শীতজনিত রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে।
জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. শাহিনুর রহমান সরর্দার জানান, বর্তমানে হাসপাতালে ৩৬৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছে যাদের মধ্যে শিশু রয়েছে ৭১ জন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights