কর্মকর্তাদের লাগাতার ধর্মঘটে পবিপ্রবিতে স্থবিরতা
দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘটের লাগাতার আন্দোলনে স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। গত সোমবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা এসোসিয়েশন ৬ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে কর্মবিরতির পাশাপাশি অবস্থান ধর্মঘট শুরু করে। চলমান আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারি পরিষদ সংহতি প্রকাশ করলে আন্দোলন আরও জোড়ালো হয়।
রবিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে ৩ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারি পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট শুরু করলে কার্যত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম অচল হয়ে পড়ে। বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারিদের অবস্থান ধর্মঘটের সমাবেশে কর্মকর্তা এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সাইদুর রহমান জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক ওয়াজকুরুণী, কর্মচারি পরিষদ সভাপতি মজিবুর রহমান মৃধা, বঙ্গবন্ধু কর্মচারি পরিষদ সভাপতি শাহাদাত হোসেন পিয়েল প্রমুখ বক্তৃতা করেন। বক্তারা বর্তমান দায়িত্বরত রেজিষ্ট্রারকে অযোগ্য ঘোষণা দিয়ে দ্রুত তার অপসারণসহ সকল দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তাকে প্রশাসনের বাইরে বদলির দাবি করেন।
এদিকে কর্মকর্তাদের চলমান আন্দোলনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর ছিল প্রায় ফাঁকা। কোন দপ্তরেই কর্মকর্তারা না থাকায় স্বাভাবিক কার্যক্রম হয়নি। একাডেমি কার্যক্রমের স্থবিরতা দেখা গেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য, ডীন কাউন্সিল ও রেজিষ্ট্রারের উপস্থিতিতে আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারিদের ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদের ভিসি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন।
বেলা ১১টা টানা ৪ ঘণ্টার বৈঠক শেষে অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সাইদুর রহমান জুয়েল গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমাদের ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য কর্তপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ ছোটখাট দবিগুলো মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলেও এখতিয়ার বহির্ভূত বিষয়গুলোর জন্য সময় চেয়েছেন। অফিসার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ওয়াজকুরুনী বলেন, কর্তৃপক্ষের এমন আশ্বাসে কর্মকর্তারা আস্থা আনতে পারছেন না বলেই তাদের আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন। কর্তৃপক্ষ দাবি পালনে ইতিবাচক হলে অবশ্যই আন্দোলন শিথিল করা যাবে।
এ প্রসঙ্গে রেজিষ্ট্রার মো: কামরুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী বোর্ডের সিদ্ধান্ত ব্যতিরেকে কিছুই বলা বা করা আইনসিদ্ধ নয়। কর্মকর্তা-কর্মচারিদের পদোন্নয়নের বিষয়টি ভিসি রেজিস্ট্রারের এখতিয়ার বহির্ভূত। অযোগ্য ও অদক্ষতার অভিযোগ তুলে অপসারণ দাবির প্রশ্নে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি (রেজিষ্ট্রার) বলেন, ওই বিষয়ে ধর্মঘটকারী কর্তকর্তারাই ভালো বলতে পারবেন।