কর্মচারীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে রাবির দুই ছাত্রলীগ নেতার চাঁদা দাবি

রাবি প্রতিনিধি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হলকক্ষে ডেকে কর্মচারীকে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগ ওঠেছে দুই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল প্রাধ্যক্ষের নিকট এই অভিযোগ জানানো হয়।

এই ঘটনায় ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত আছেন। অন্যদিকে, অভিযুক্ত দুই ছাত্রলীগের নেতা হলেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম ও শহীদ শামসুজ্জোহা হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মমিন ইসলাম।
প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আজ দুপুরে ফোন করে ভুক্তভোগীকে হলকক্ষে ডেকে তারা মারধর করেন। এক পর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তার নিকট চাঁদাও দাবি করেছিল বলে ভুক্তভোগী অভিযোগ পত্রে জানিয়েছে। সিসি ফুটেজে মারধরের ঘটনার প্রমাণও পাওয়া গেছে। রাতে প্রাধ্যক্ষ পর্ষদের সভায় এই শিক্ষার্থীদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ভুক্তভোগী অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেছেন, দুপুর সাড়ে ১২টায় অসুস্থতার কথা বলে সোহরাওয়ার্দী হলের ৩৬৪ নম্বর কক্ষে ডাকা হয়। সেখানে যাওয়ার পর হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর ও ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন মমিন ও মাজহারুল। একপর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লে তারা ভুক্তভোগীকে বাহিরে রেখে পালিয়ে যান। পরবর্তী সাধারণ শিক্ষার্থীরা মাথায় পানি ঢেলে তাকে সুস্থ করেন। এ ঘটনায় নিজের নিরাপত্তা চেয়েছেন ভুক্তভোগী রফিকুল।

অভিযোগের ব্যাপারে শহীদ জোহা হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মমিন ইসলাম জানান, মারধরের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। ওই কর্মচারীর নিকট পাঁচ হাজার টাকা পেতাম। কিন্তু দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও সেটা না দিয়ে টালবাহানা করছেন। তাই রুমে ডেকে টাকার বিষয়ে কথা বলি এবং বাহিরে একসাথে চা খাই।

তিনি জানান, এই মাসেই টাকা দিয়ে দিবেন। তারপর তিনি চলে যান। কিন্তু এখন যে অভিযোগ করছেন সেটা অবশ্যই ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেন এই নেতা।

অভিযোগের ব্যাপরে জানতে সোহরাওয়ার্দী হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলামকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights