কসোভোয় আরো ৬০০ সেনা পাঠাচ্ছে ন্যাটো

অনলাইন ডেস্ক

কসোভো সীমান্তে সার্বিয়া সেনা মোতায়েন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যেই ন্যাটো আরো ৬০০ সেনা কসোভোয় পাঠাচ্ছে বলে জানিয়েছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন এই সামরিক জোট।

কসোভোয় সম্প্রতি পুলিশ স্টেশনে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এরপরই ন্যাটো দেশটিতে আরো ৬০০ সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

উল্লেখ্য, মাসকয়েক আগে পুরনির্বাচনকে কেন্দ্র করেও প্রবল উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল কসোভোয়। ন্যাটোর সেনার উপর হামলাও হয়েছিল। সে সময়ও বেশ কিছু রিজার্ভ ফোর্স কসোভোয় পাঠিয়েছিল ন্যাটো। এবার আরো সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
নির্বাচনের সময়ে উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল সার্বিয়ান অধ্যুষিত কসোভোর বেশ কিছু অঞ্চলে। সম্প্রতি গন্ডগোলও হচ্ছে সার্বিয়ান অঞ্চলে। অভিযোগ, কসোভো সীমান্তে সার্বিয়া সেনা মোতায়েন করেছে। সে কারণেই উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে।

সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চলছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেছেন তিনি। তবে সার্বিয়া-কসোভো সীমান্তে যে উত্তেজনা আছে, প্রত্যক্ষদর্শীরা সকলেই তা বলছেন। বস্তুত, সার্বিয়া এখনো কসোভোকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে মেনে নেয় না।

এদিকে যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, ন্যাটো তাদের কাছে সেনা চেয়েছিল। তারা প্রিন্সেস অব ওয়েলসের রয়্যাল ব্যাটেলিয়ন থেকে ২০০ সেনা সার্বিয়ায় পাঠাচ্ছে। বাকি ৪০০ সেনা অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্র থেকে পাঠানো হবে। এর আগেও তারা কেফরকে (ন্যাটো বাহিনী) সাহায্য করতে বেশ কিছু সেনা সেখানে পাঠিয়েছিল।

সম্প্রতি সার্বিয়ান অধ্যুষিত অঞ্চলে একটি পুলিশ স্টেশনে হামলা হয়। সেখানে কসোভোর এক পুলিশ অফিসার মারা যান। তিনজন সশস্ত্র সার্বিয়ান সন্ত্রাসীরও মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার পর থেকেই উত্তেজনা অনেকটা বেড়ে গেছে।

২০০৮ সালে কসোভো স্বাধীন দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর তাদের এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। আগে তারা সার্বিয়ার অংশ ছিল। কিন্তু সার্বিয়া কখনোই কসোভোকে আলাদা দেশের স্বীকৃতি দেয়নি। সূত্র: ডয়েচে ভেলে, সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট, এবিসি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights