কেন মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ভেঙে দেওয়া হল পাকিস্তানের পার্লামেন্ট?
অনলাইন ডেস্ক
ভেঙে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ (পার্লামেন্ট)। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের পরামর্শের ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ নেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি।
প্রেসিডেন্টের দপ্তর আইওয়ান-ই-সদর এ ব্যাপারে একটি নির্দেশনা জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, সংবিধানের ৫৮ ধারা অনুযায়ী পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
এর মাধ্যমে শেহবাজ সরকারের শাসনের অবসান ও দেশটিতে নতুন নির্বাচনের পথ উন্মুক্ত হল। এখন দেশটির নির্বাচন কমিশনকে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
জানা গেছে, শেহবাজ শরিফ সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ১২ আগস্ট। এর তিনদিন আগেই দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এ জন্য বুধবার প্রেসিডেন্ট আলভির কাছে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার জন্য চিঠি পাঠান শেহবাজ শরিফ।
কেন মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ভেঙে দেওয়া হল পাকিস্তানের পার্লামেন্ট?
প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দলের দ্বারা নির্বাচিত হয়েছিলেন। যদি ১২ আগস্ট মেয়াদ পূর্ণ করে শেহবাজ পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান জানাতেন তাহলে তিনি তা বিলম্ব করতে পারতেন। আর বিলম্ব হলে নির্বাচন কমিশনকে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হতো। এই আশঙ্কা থেকে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই শেহবাজ শরিফ পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
তবে পাকিস্তানে আগামী ৯০ দিনের মধ্যেও নির্বাচন কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
এদিকে, অনেকের ধারণা, ইমরান খান যেন নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন— পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার আগে সেই ব্যবস্থা করেছে শেহবাজের জোট সরকার।
ইমরানকে প্রথমে তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার পর তাকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচন থেকে নিষিদ্ধ করার ব্যবস্থা করেছে তারা। সূত্র: ডন