খুলনায় জবি শিক্ষককে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনার কয়রায় নিয়োগ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর নজরুল ইসলামকে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ প্রহরায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মারধরের ঘটনাটি ঘটে।

কয়রা উত্তরচক কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পরীক্ষায় তিনি ইসলামি আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

চিকিৎসাধীন প্রফেসর নজরুল ইসলাম বলেন, ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদে লিখিত পরীক্ষায় কেউ পাশ করেনি। তারপরও স্থানীয় মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ তার পছন্দের প্রার্থী মাদ্রাসাটির উপাধ্যক্ষ মাসুদুর রহমানকে নিয়োগ দিতে চাপ সৃষ্টি করেন। কিন্তু আমি রাজি না হওয়ায় আমাকে মারধর করে চেয়ারম্যানের বাড়ির একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। সেখানে সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে নির্যাতন করা হয়। এক পর্যায়ে নিয়োগপত্রে স্বাক্ষর দিতে চাইলেও হাতের আঙ্গুলে ব্যথা থাকায় সই দিতে পারছিলাম না। ওরা বরফ এনে হাতে দেয়। ব্যথা কমলে ৪-৫ টা কাগজে সই নেয়। সই নেয়ার পর অ্যাম্বুলেন্সে করে কয়রা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে ডাক্তারদের সহযোগিতায় সবাইকে বিষয়টি জানাই।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সুজিত কুমার বৈদ্য বলেন, আহত প্রফেসর নজরুল ইসলামকে ভর্তি করার পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় পাঠানো হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
তবে মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করতে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তাকে (নজরুল ইসলাম) মারপিটের ঘটনা ঘটেনি। নিয়োগ পরীক্ষা শেষে তিনি আমার বাড়িতে নাস্তা করতে আসার পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়।

কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবিএমএস দোহা বলেন, প্রফেসর নজরুল ইসলামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights