গণ বিপ্লবে চোখে গুলি লাগা সাজ্জাদ যাচ্ছেন থাইল্যান্ড
অনলাইন ডেস্ক
সাজ্জাদ হোসেন, ২১ বছরের টগবগে যুবক। পড়াশুনা করেন পাবনা টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিজেকে ঘরে আটকে রাখতে পারেননি। প্রতিদিন আন্দোলনে যোগ দেন তিনি। কিন্তু ঘাতকের বুলেটে বাম চোখের দৃষ্টি হারিয়েছেন পুরোপুরি। তার সুচিকিৎসার জন্য সরকারিভাবে তাকে আগামীকাল (মঙ্গলবার) থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ বিমানের থাইল্যান্ডগামী বিজে ৩৮৮ ফ্লাইটে সকাল ১১ টায় দেশত্যাগ করবেন তিনি।
কেন আন্দোলনে যোগ দিলেন জানতে চাইলে সাজ্জাদ বলেন, দেশ স্বৈরাচারের হাতে বন্দী ছিলো। মানুষের ছিলো না কোন স্বাধীনতা। দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করতে আন্দোলনে যোগদান করি। আন্দোলন করতে গিয়ে প্রতিদিন পরিচিত কেউ আহত হতো কেউবা শহীদ হতো। মনটা বিষিয়ে উঠত। মনে হতো যেভাবেই হোক দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করতেই হবে। নতুন করে সাজাতে হবে দেশকে। নতুন করে স্বাধীন করতে হবে। দেশের মানুষকে স্বাধীনতার সাধ এনে দিতেই আন্দোলনে নেমে আসি।
কিভাবে আহত হলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৪ আগস্ট আমরা পাবনায় আন্দোলনে নামি। আমাদের প্রতিহত করতে নামে যুবলীগ। পাবনা যুবলীগের নেতা সাইদ চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। তাদের গুলিতে আমাদের ৩ ভাই শহীদ হন। আমার পাশে থাকা একজন শহীদ হন। গুলি এসে আমার বাম চোখে লাগে। রক্তে ভেসে যায় মুখমণ্ডল। আমাকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে ঢাকায় আনা হয়। বেসরকারি অরোরা হাসপাতালে নিউরোসার্জন ডা. মাহফুজুর রহমান অপারেশন করেন। কিন্তু চোখে দেখার উন্নতি না হলে আমাকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অপথ্যালমোলজিতে রেফার্ড করা হয়। গুলিতে আমার চোখের নার্ভ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। আমি আবার চোখে দেখবো কিনা জানিনা। আমি চাই আমার চোখের বিনিময়ে দেশের মানুষ ভালো থাকুক।
দেশের বাহিরে চিকিৎসার সুযোগ দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান সাজ্জাদ।