গ্রহাণু থেকে খনিজ আহরণের উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্রের

অনলাইন ডেস্ক
গ্রহাণু থেকে বাণিজ্যিকভাবে খনিজ আহরণের উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক মহাকাশ বিষয়ক বেসরকারি একটি কোম্পানি। এ সপ্তাহের শেষের দিকে একটি গ্রহাণু থেকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে খনিজ সন্ধান করাই ওই কোম্পানির লক্ষ্য। এতে ব্যবহার করা হবে রোবটচালিত ক্ষুদ্র যান ‘ওডিন’।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’ অনলাইন তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত অ্যাসট্রোফর্জ নামের কোম্পানিটি পৃথিবীর কক্ষপথে আগেই একটি মহাকাশযান পাঠিয়েছে। তা পৃথিবীর কক্ষপথে অবস্থান করে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু করেছে সেই মহাকাশ যান। পৃথিবীর কাছাকাছি অবস্থানকারী গ্রহাণু ‘২০২২ ওবি৫’কে টার্গেট করার প্রস্তুতি নিচ্ছে তা। অ্যাসট্রোফোর্জের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ম্যাট গিয়ালিচ বলেন, যদি এ কাজে তারা সফল হন তাহলে এটাই সম্ভবত সবচেয়ে বড় বিজনেস হবে।

রোবোটিক যানের অপারেশনও পরিচালনা করছেন তিনি। এই গবেষণায় ‘ওডিন’ হবে অ্যাস্ট্রোফোর্জের দ্বিতীয় মহাকাশযান। ২৬ শে ফেব্রুয়ারি নাগাদ একে মহাকাশে নিয়ে যাবে স্পেসএক্স ফলকন৯ রকেট। একই সঙ্গে থাকবে বেসরকারি উদ্যোগে তৈরি করা মুন ল্যান্ডার এবং লুনার অরবিটার। ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে ওই রকেট। ‘ফ্যালকন ৯’ থেকে ৪৫ মিনিট পর আলাদা হয়ে যাবে ‘ওডিন’ এবং এককভাবে যাত্রা শুরু করবে। ‘ওডিন’ ০.৬ মাইল দূরত্ব থেকে সাদা-কালো ক্যামেরা ব্যবহার করে ‘২০২২ ওবি৫’ গ্রহাণুর ছবি সংগ্রহ করবে।

সেসব ছবি ওই গ্রহাণুতে থাকা ধাতব বস্তুর আকার পরিমাপ করতে সাহায্য করবে। ওই গ্রহাণুকে এম-টাইপে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে এবং ধারণা করা হচ্ছে এতে ১ লাখ ১৭ হাজার টন প্লাটিনাম আছে। ‘ওডিন’ মহাকাশযান তৈরিতে প্রায় ৬৫ লাখ ডলার খরচ হয়েছে।

এদিকে তৃতীয় গ্রহাণু মিশনের পরিকল্পনা করছে অ্যাসট্রোফোর্জ। ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ বা ২০২৬ সালের শুরুতে ওই মিশন পরিচালনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। অনলাইন স্পেস-এর তথ্য অনুযায়ী অ্যাস্ট্রোফোর্জের প্রথম মিশন (ব্রোকর-১) ২০২৩ সালে কক্ষপথে পৌঁছায়। তবে তা কিউবস্যাটের প্রোটোটাইপ রিফাইনারি প্রযুক্তি সক্রিয় করতে ব্যর্থ হয়। বৃটেনে অবস্থিত অ্যাস্ট্রয়েড মাইনিং কোর-এর প্রতিষ্ঠাতা মিচ হান্টার-স্কালিয়ন বলেন, ১ কিলোমিটার ব্যাসের একটি গ্রহাণু যদি প্লাটিনাম বহন করে তাহলে তাতে ১ লাখ ১৭ হাজার টনের মতো প্লাটিনাম থাকার কথা। যা ৬৮০ বছরে বিশ্বব্যাপী প্লাটিনাম সরবরাহের সমান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights