চসিক ভবন ঘেরাও পরিচ্ছন্নকর্মীদের

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ডিজিটাল হাজিরা বাতিল ও ম্যানুয়েল সিস্টেমে হাজিরা দেওয়ার দাবিতে ভবন ঘেরাও করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে তারা নগর ভবনের বাইরে অবস্থান নিয়ে ঘেরাও করেন। বিক্ষোভের কারণে চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী কার্যালয়ে আটকে পড়েন। এ সময় তারা ফিঙ্গারপ্রিন্ট হাজিরা বাতিলের শ্লোগান দেয়।

তবে চসিক বলছে, এটি তাদের অযৌক্তিক দাবি। ডিজিটাল যুগে দাবি সমর্থনযোগ্য নয়। ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে হাজিরা দিলে তারা না এসে কিংবা বিলম্বে এসেও হাজিরা দিয়ে দিচ্ছে। এখন ফিঙ্গার প্রিন্টের কারণে তারা অনিয়ম করতে পারছে না।

পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা জানান, ডিজিটাল হাজিরার কারণে তাদের বেতন কেটে রাখা হয়েছে। আগের নিয়মেই ম্যানুয়েল হাজিরা দিবে এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট হাজিরা বন্ধ করতে হবে।
চসিকের সচিব খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ডিজিটাল হাজিরা দিতে অনিচ্ছুক। তারা চায় আগের নিয়মে গড় হাজিরা দিতে। ফিঙ্গার প্রিন্টে ডিজিটাল হাজিরার মাধ্যমে উপস্থিতি নিশ্চিত করায় অনেকের বেতন কাটা হয়েছে। এ কারণে তারা অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে। তিনি বলেন, তাদের এ দাবি কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়। ভুয়া নামে বেতন তোলা আবার কর্মস্থলে না এসেও হাজিরা দেখানোর সংস্কৃতি বন্ধ করতে ডিজিটাল হাজিরা চালু করা হয়েছে। তারা এটা মানতে চায় না। এ কারণেই আন্দোলন করছে। তারা ঠিকমত কাজ না করলে শহর অপরিস্কার থাকবে। বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, প্রতি ওয়ার্ডে বিতর্কিত ডোর টু ডোর প্রকল্পসহ চারটি বিভাগের কর্মচারীদের জন্য ডিজিটাল হাজিরা চালু করে চসিক। এতে চসিকের ৪১ ওয়ার্ডে কর্মরত ডোর টু ডোর, পরিচ্ছন্নতা বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ ও সচিবালয় শাখার প্রায় সাড়ে চার হাজার কর্মীর ডিজিটাল হাজিরার আওতায় আসে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights