চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে পুরোনো রূপেই ফিরছেন রানা
অনলাইন ডেস্ক
বিপিএলে দারুণ শুরুর পর ছন্দপতন ঘটে বাংলাদেশি পেসার নাহিদ রানার। উইকেটের সঙ্গে যেন দূরত্ব তৈরি হয় তার। মূল অস্ত্র গতি কমে যায় অনেকটা। শরীরী ভাষায়ও স্পষ্ট ক্লান্তির ধকল। বিষয়টি চোখ এড়ায়নি বাংলাদেশ দলের কোচ ফিল সিমন্সের। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে গতি ও ধার নাহিদ ফিরে পাচ্ছেন বলেই মনে হচ্ছে কোচের।
সদ্য সমাপ্ত বিপিএলের শুরু থেকেই আলোচনায় ছিল নাহিদের ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট। রংপুর রাইডার্স ফ্র্যাঞ্চাইজির পক্ষ থেকে বারবারই বলা হয়েছে, জাতীয় দলের নির্দেশনা অনুযায়ীই সব করছেন তারা। নাহিদও বলেছেন, নিজের শরীরের বিষয়টি তিনিই ভালো বুঝবেন, প্রয়োজন হলে নিজেই চেয়ে নেবেন বিশ্রাম। সেই বিশ্রাম নাহিদ পেয়েছেন মাত্র এক ম্যাচে। সেটিও টানা সাত ম্যাচ খেলার পর। এরপর আবার আট দিনের মধ্যে তিনি খেলেছেন পাঁচ ম্যাচ। রংপুরের পক্ষ থেকে কিংবা নাহিদ নিজে টানা খেলার কোনো ধকলের কথা না বললেও, পারফরম্যান্সেই দেখা গেছে এর ছাপ।
দারুণ শুরু করা বিপিএলে প্রথম পাঁচ ম্যাচে ৯ উইকেট নেন নাহিদ। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ২৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। এক ম্যাচ পর ২১ রান খরচায় ৩ ব্যাটসম্যানকে আউট করে আবারও পান একই স্বীকৃতি। সেই ধারাবাহিকতা আর ধরে রাখতে পারেননি ২২ বছর বয়সী পেসার। টুর্নামেন্টের পরের সাত ম্যাচে তার শিকার মাত্র ১ উইকেট। বোলিংয়ের গতিতেও দেখা যায় বিরাট পরিবর্তন। গতি নেমে আসে ১৪০ কিলোমিটারের নিচে। স্লোয়ার ডেলিভারির ব্যবহার করতে থাকেন বেশি।
শেষ দিকে অবশ্য আবার গতি বাড়ে নাহিদের। তবে ব্যাটসম্যানদের মনে ভয় ধরানোর মতো বোলিং আর তিনি করতে পারেননি। তরুণ পেসারের এমন ফর্ম নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশের জন্য চিন্তার কারণ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গতির ঝড় তোলার জন্য তার দিকেই যে চেয়ে থাকবে দল। বিপিএলে শেষ দিকে নাহিদের ছন্দহীন হয়ে পড়ার কথা মানছেন বাংলাদেশের প্রধান কোচও। তবে তিনি জানালেন, কিছু দিন বিশ্রাম পেয়ে আবারও পুরোনো রূপে ফিরছেন তরুণ গতিতারকা।
সিমন্স জানান, বিপিএলের শেষ কয়েক ম্যাচে তাকে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা ধীরগতির মনে হয়েছে। এমনকি শেষ দিকে এসে রান আপও তার স্বাভাবিক সময়ের মতো ছিল না। তবে তারা (রংপুর রাইডার্স) আগে বাদ পড়ে যাওয়ায় সে কিছুটা বিশ্রাম পেয়েছে। বিশ্রাম নিয়ে আসার তাকে আবারও ধারালো মনে হয়েছে। গতি ফিরে আসছে এবং ক্যারিবিয়ানে যেমন ছিল, রান আপও তেমন গতিময় ছিল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজে সবশেষ সফরে দুইটি ওয়ানডে খেলেছিলেন নাহিদ। সব ঠিকঠাক থাকলে দুবাই ও রাওয়ালপিন্ডিতে সামনের টুর্নামেন্টে সব ম্যাচেই হয়তো মাঠে দেখা যাবে তাকে। আর বড় এই আসরের জন্য বিপিএলের ক্লান্তি ভুলে নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য সপ্তাহখানেক সময় নাহিদের সামনে।