ছাত্রলীগ নেতার পা কাটা মরদেহ উদ্ধার
দিনাজপুর প্রতিনিধি :
রেললাইনের পাশ থেকে পা কাটা অবস্থায় দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর ছাত্রলীগ নেতা শিফাত আহম্মেদ শিশিরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এটি দুর্ঘটনা না হত্যাকাণ্ড, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জনমনে। তবে পরিবারের দাবি, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফুলবাড়ী পৌর এলাকার স্বজনপুকুর গ্রামের রেললাইনের পাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পার্বতীপুর রেলওয়ে থানার পুলিশ।
নিহত শিফাত আহম্মেদ শিশির(১৭) ফুলবাড়ী উপজেলার কাজীহাল ইউনিয়নের আঁখিঘোটনা গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। সে ফুলবাড়ী শহীদ স্মৃতি আদর্শ কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে কাজীহাল ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টায় বাঁ পা কাটা অবস্থায় একটি মরদেহ রেললাইনে দেখতে পান স্থানীয়রা। ফুলবাড়ী রেলস্টেশন মাস্টার হায়দার আলীকে খবর দিলে তিনি পার্বতীপুর রেলওয়ে থানার পুলিশকে (জিআরপি) খবর দেন। পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে। মরদেহের সঙ্গে থাকা ব্যাগ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র পেয়ে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়। পরে মরদেহটি পুলিশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
তার পরিবার সূত্রে জানা যায়, শিফাত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় বাড়ি থেকে কলেজের উদ্দেশে বের হয়। কলেজ শেষে পৌর এলাকার চকচকা গ্রামে তার খালার বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সে খালার বাড়িতে যায়নি। পরে রাত ১০টায় রেললাইনের পাশে শিফাতের মরদেহ পাওয়ার খবরে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঁ পা কাটা অবস্থায় শিফাতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে আমাদের ধারণা। এ নিয়ে ফুলবাড়ী রেলস্টেশন মাস্টার হায়দার আলী বলেন, ফুলবাড়ী থেকে রাত ৮টা ১৫মিনিটে বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনটি পার্বতীপুরে যায়। ট্রেনটি যাওয়ার ১০মিনিট পরে গেটম্যানের মাধ্যমে জানতে পারি পা কাটা অবস্থায় মরদেহ পড়ে আছে।
পার্বতীপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম নুরুল ইসলাম জানান, ওই ছাত্রলীগের নেতা ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে কি না, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হতে শুক্রবার মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাই আপাতত কিছুই বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে বিস্তারিত বলা যাবে।