ছাত্র আন্দোলনে সংহতি মোশাররফ বাঁধন সিয়ামদের

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

ছাত্র আন্দোলনে সংহতি জানাতে মোশাররফ, বাঁধন ও সিয়ামরা ‘দৃশ্যমাধ্যম শিল্পীসমাজ’-এর ব্যানারে গতকাল সকালে রাজধানীর ফার্মগেটের ফুটপাতে প্রতিবাদ সভা করেছেন। তাঁরা চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতা ও হত্যাকান্ডের বিচার এবং ‘গণগ্রেপ্তার’ বন্ধ করার দাবি জানান। ব্যানার ও পোস্টার হাতে দাঁড়িয়ে বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রতিবাদী এ আয়োজনে অংশ নেন মামুনুর রশীদ, অমিতাভ রেজা চৌধুরী, আকরাম খান, মোশাররফ করিম, আজমেরী হক বাঁধন, পিপলু আর খান, ঋতু সাত্তার, আমরিন মুসা, আশফাক নিপুণ, সুকর্ণ শাহেদ, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা, নির্মাতা নূরুল আলম আতিক, মাতিয়া বানু শুকু, রেদওয়ান রনি, তানিম নূর, নুহাশ হুমায়ূন, সৈয়দ আহমেদ শাওকী, আদনান আল রাজীব, শঙ্খ দাশগুপ্ত, অভিনয়শিল্পী ইরেশ যাকের, সিয়াম আহমেদ, নাজিয়া হক অর্ষা, জাকিয়া বারী মম, মোস্তফা মন্ওয়ার, দিপু ইমাম, সাবিলা নূর, প্রবর রিপন, শ্যামল মাওলা প্রমুখ। তাঁরা বলেন, শিল্পী হিসেবে সমাজ, রাষ্ট্র ও দেশের মানুষের প্রতি আমাদের একটা দায়বদ্ধতা আছে। সে দায় থেকেই আমাদের আজ রাজপথে নামতে হলো। আমরা ভেবেছিলাম সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কিন্তু দিনে দিনে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকেই যাচ্ছে। অধিকার আদায়ের জন্য রাজপথে নামলে গুলি করে তাকে দমন করা হবে তা আমাদের কাম্য ছিল না। এত রক্তপাত না ঘটিয়ে এত প্রাণের বিসর্জন ছাড়াও একটা সুন্দর সমাধান করা যেত। আমরা অবিলম্বে এ সহিংসতা বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে রাজনীতির গ্যাঁড়াকলে নিরীহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। মোশাররফ করিম বলেন, ‘আমাদের দেশে যে অবস্থা বর্তমানে সৃষ্টি হয়েছে, তাতে আমরা ঘরে বসে থাকার মতো অবস্থায় নেই। আমরা শান্তি চাই। রক্ত দেখতে চাই না। গোলাগুলি, রক্ত দেখতে চাই না। আমি ও আমরা সাধারণ মানুষ। আমরা শান্তি চাই।’ অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন বলেন, ‘যে রাষ্ট্র নির্বিচার গুলি চালায়, যে রাষ্ট্র মানুষ হত্যা করে সে রাষ্ট্র কখনোই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রতিচ্ছবি হতে পারে না। যে মানুষ মরেছে, আজ তাদের জায়গায় আমি-আপনি থাকতে পারতাম। এ হত্যার দায় রাষ্ট্রের নিতে হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights