জনবিচ্ছিন্ন সরকার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায় : এমরান সালেহ

শেরপুর প্রতিনিধি

আওয়ামী লীগ জনবিচ্ছিন্ন। তাদের পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে। তাই নৈরাজ্য সৃষ্টি করে দেশে অশান্তি তৈরি করতে চায়। ২৮ তারিখ মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে দেশকে অশান্ত বানাতে মরিয়া হয়ে গেছে, ওরা নৈরাজ্য সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়। কিন্ত বিএনপি যে কোনো মূল্যে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলন করবে।

রবিবার বিকেলে শেরপুর জেলা বিএনপির এক জরুরি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।

সভায় এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, গত কয়েকদিন যাবত আওয়ামী লীগের নেতারা যে অসংলগ্ন ও অসত্য বক্তব্য রাখছেন তাতে প্রমাণ হয় তাদের পায়ের নিচে মাটি নাই। সে কারণেই তারা প্রতিদিন পাগলের প্রলাপ বকছেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নয় বরং আওয়ামী লীগ বিএনপির জননির্ভর আন্দোলনে রাষ্ট্রীয় ও দলীয় সন্ত্রাস চালাচ্ছে। প্রতিদিন দেশব্যাপী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দুর্নীতি-লুটপাটের ভাগাভাগি নিয়ে যে খুনোখুনি করছে, সন্ত্রাস করছে, অথচ তার কোনো বিচার নাই। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিএনপিকে দমন করার জন্য মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিয়ে বিএনপির লাখো নেতাকর্মীকে হয়রানি করা হচ্ছে। সাজা দিয়ে জেলে আটক রাখা হচ্ছে।

প্রিন্স বলেন, কথায় কথায় সংবিধানের দোহাই দেয়া হচ্ছে, কিন্তু আওয়ামী লীগ আজীবন ক্ষমতায় থাকার জন্য সংবিধানকে ইচ্ছামতো কাঁটা ছাড়া করে এখন সংবিধানের দোহাই দিচ্ছে। অবাধ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোন বিকল্প নাই।

তিনি বলেন, আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকার মহাসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এই মহাসমাবেশ থেকেই সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হবে। সরকার যদি এই মহাসমাবেশের পথে বাধা সৃষ্টি করে তবে তার সব দায়-দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে।

শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় জেলা, উপজেলা, পৌর বিএনপি এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্ব সভায় উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights