জলাতঙ্ক আক্রান্ত গাভীর দুধ পান, আতঙ্কে ৩৩ জন নিলেন ভ্যাকসিন
সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের সখীপুরে জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত গাভীর দুধ পান করা ৩৩ জন নারী-পুরুষ নিলেন জলাতঙ্ক রোগের ভ্যাকসিন। উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের কীর্ত্তনখোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
গত বুধবার ওই গাভী জলাতঙ্ক রোগে মারা যাওয়ার পর থেকে ওই এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে জানায় গ্রামবাসী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কীর্ত্তনখোলা গ্রামের শাহজাহান মিয়ার দেশি জাতের গাভী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থ গাভীটি উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে নিয়ে যায়। গাভীর অবস্থা দেখে চিকিৎসকরা জানায় গাভীটি জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এ সংবাদে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দেশী জাতের এই গাভীটি খোলা জায়গায় ঘাস খাওয়ার জন্য বেঁধে রাখা হতো বলে ধারণা করা হচ্ছে শিয়াল বা কুকুড়ে কামড়ে দিয়েছিলো। তবে গাভীর শরীরে কোন ক্ষতে চিহ্ন নেই বলে জানায় স্থানীয়রা।
ওই গাভীর দুধ পান করা স্থানীয় মাদ্রাসার শিক্ষক মীর রূপক হোসাইন বলেন, যেহেতু জলাতঙ্ক রোগের মৃত্যু হার ১০০% তাই কোনো ধরনের ঝুঁকি না নিয়ে ভ্যাকসিন গ্রহণ করলাম।
কীর্ত্তনখোলা গ্রামের মীর শাওন বলেন, আক্রান্ত গরুর দুধ খাওয়ার কারণে কিছুটা আতঙ্কিত। তাই ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়েছি। তাৎক্ষণিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন না থাকায় বাইরে থেকে কিনে ভ্যাকসিন দিয়েছি।
সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. রুহুল আমীন মুকুল বলেন, এ বিষয়ে মেডিসিন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে বলছি। তারপরেও নিরাপদ থাকার জন্য জলাতঙ্ক রোগের ভ্যাকসিন নিয়েছে কিছু লোক।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সামিউল বাসির বলেন, কয়েক দিন আগে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ওই গাভী নিয়ে আসছিলো। আমরা ওই গাভীর লোককে সচেতন থাকার জন্য পরামর্শ দিয়েছি। পরে শুনেছি গাভীটি মারা গেছে।