জুলাই-আগস্টের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন সম্ভব : সালাহউদ্দীন আহমেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, জিয়াউর রহমানের জন্ম হয়েছিল বলেই বাকশালের কথা বলে যে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়, সেই গণতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করা সম্ভব হয়েছিল। বাংলাদেশের প্রতিটি সাংবিধানিক, রাষ্ট্রীয় ও গণতান্ত্রিক সংকটে কেবলমাত্র শহীদ জিয়া, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ভূমিকাই এদেশের মানুষ দেখেছে।

শনিবার নগরীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব একথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এক এগারো সরকারের সাথে শেখ হাসিনার অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্রের কারণে দেশে একদলীয় শাসনের পথ সুগম হয়। ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করে শেখ হাসিনা সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের কবর রচনা করেছিল। শেখ হাসিনা এদেশে সাংবিধানিক একনায়কতন্ত্র ও সংসদীয় স্বৈরতন্ত্র প্রবর্তন করতে চেয়েছিলেন এবং প্রায় সফল হয়ে গিয়েছিলন। তাই সে রকম একটি একনায়কতান্ত্রিক সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে বাংলাদেশ হতে চিরতরে উৎখাত করতে হলে বিদ্যমান সংবিধানে গণতান্ত্রিক সংস্কার করতে হবে।

মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলার সভাপতিত্বে সদস্য সচিব নাজিমুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য গোলাম আকবর খোন্দকার, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।

বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শামসুল আলম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দিন, কাজী বেলাল উদ্দিন, শফিকুর রহমান স্বপন, হারুন জামান, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, শাহ আলম, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, শওকত আজম খাজা, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, শিহাব উদ্দিন মোবিন, মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, মহানগর তাঁতী দলের সভাপতি হাফেজ সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights