ট্রলার মালিককে খুন করে লুট করা মাছ বিক্রি করতে এসে আটক

বরগুনা প্রতিনিধি

বঙ্গোপসাগরে জেলেকে কুপিয়ে হত্যা করে পানিতে ফেলে ট্রলারসহ মাছ লুট করার অভিযোগ উঠেছে একই ট্রলারের আরেক জেলের বিরুদ্ধে। ট্রলারের আরেক জেলেকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইব্রাহিম (৩৮) নামে অভিযুক্ত জেলেকে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা।

বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে কূলে ফেরার পথে পটুয়াখালীর গলাচিপার পানখালীর দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে হত্যাকাণ্ডটি ঘটে।

নিহত জেলের নাম রাশাদ খান (৩২)। তিনি পটুয়াখালী জেলার রাঙাবালি উপজেলার চরমোন্তাজ এলাকার আলতাফ হোসেনের ছেলে ও লুট হওয়া ট্রলারটির মালিক। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাশাদের লাশ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ওই ঘটনায় আহত জেলের নাম জামাল হোসেন (৩০)। তিনি একই এলাকার বাসিন্দা। পটুয়াখালীর একটি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, জামাল ও ইব্রাহিমসহ ট্রলারবোঝাই মাছ নিয়ে সাগর থেকে উপকূলের দিকে আসছিলেন ট্রলারমালিক রাশাদ। আর বেশি মাছ দেখে লোভে পড়েন ইব্রাহিম। মাছ লুট করতে রাশাদকে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে সাগরে ফেলে দেন ঘাতক ইব্রাহিম। এ সময় রাশাদকে বাঁচাতে তার সঙ্গী জামাল এগিয়ে এলে তাকেও কুপিয়ে জখম করা হয়। সাগরে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রাণ বাঁচান জামাল।

পরে ঘাতক ইব্রাহিম মাছসহ সেই ট্রলার নিয়ে এসে পাথরঘাটা ঘাটে বিক্রি করেন। ওই মাছ কিনে নেন স্থানীয় বাচ্চু আড়তদার। পরে ওই মাছ সংরক্ষণ করতে বরফ কিনতে কেবি-রুপালী বরফকল ঘাটে গেলে জনতার হাতে ধরা পড়েন ইব্রাহিম। তাকে পুলিশে সোপর্দ করে জনতা।

তবে আটক ইব্রাহিম ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, আমি খুন করিনি, ওই ট্রলারের জাল পাখায় পেঁচিয়ে যায়। ওই জাল ছাড়াতে গিয়ে রাশাদের কাপড় পেঁচিয়ে পাখায় পেট কেটে যায়। এ নিয়ে রাশাদ ও জামালের মধ্যে তর্ক হলে জামালকে লাইট দিয়ে মাথায় আঘাত করেন রাশাদ। জামাল তাৎক্ষণিক পানিতে পড়ে যায়।

পাথরঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, আটক ইব্রাহিমকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে জানা যায়, নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটেছে। আমরা ট্রলার জব্দ করেছি। জব্দ তালিকাটি সংশ্লিষ্ট থানা পটুয়াখালীর গলাচিপায় পাঠানো হবে। মাছ নিলামে বিক্রি করে ট্রলারের মালিক নিহত রাশাদের ভাই তুহিনের কাছে টাকা দেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights