ট্রাম্পের অভিষেকে উপস্থিত থাকবেন মাস্ক, বেজোস ও জাকারবার্গ

অনলাইন ডেস্ক
প্রযুক্তি জগতের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক, জেফ বেজোস এবং মার্ক জাকারবার্গ আগামী সপ্তাহে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। এনবিসি নিউজ মঙ্গলবার এ খবর প্রকাশ করেছে। নতুন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এই তিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তার সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠের প্রচেষ্টা হচ্ছে এটা তার নজির।

এনবিসি জানায়, ২০ জানুয়ারির অনুষ্ঠানের পরিকল্পনায় জড়িত একজন কর্মকর্তার সূত্রে জানা গেছে, এই তিনজনকে অতিথিদের জন্য নির্ধারিত মঞ্চে ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার মনোনীত সদস্যদের সঙ্গে বসানো হবে।

স্পেসএক্স এবং টেসলার সিইও ইলন মাস্ক বর্তমানে এক্স-এর প্রধান মালিক। তিনি ট্রাম্পের অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত। তার উপস্থিতি তাই অপ্রত্যাশিত নয়। মাস্ক ট্রাম্পের ডানপন্থী রাজনীতির সমর্থক এবং তার প্রচারণায় মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছেন।

ট্রাম্প ইতিমধ্যে মাস্ককে একটি পরামর্শ কমিশনের সহ-নেতৃত্বে নিয়োগ করেছেন। এই কমিশনের লক্ষ্য হলো যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি খরচ কমানো এবং আমলাতন্ত্র হ্রাস করা। যদিও এটি ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি’ বা সংক্ষেপে ‘DOGE’ নামে পরিচিত, এটি কোনো সরকারি সংস্থা নয়।

মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ এবং অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক ততটা ঘনিষ্ঠ নয়। তবে নির্বাচনের পর এই দুই উদ্যোক্তা ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন।

জাকারবার্গ সম্প্রতি মেটার নতুন নীতিমালায় পরিবর্তন এনে যুক্তরাষ্ট্রে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে ফ্যাক্ট-চেকিং প্রক্রিয়া বাতিলের ঘোষণা দেন। তিনি এটিকে সরকারের এবং ঐতিহ্যবাহী গণমাধ্যমের ‘নির্যাতনমূলক সেন্সরশিপ’ হিসেবে অভিহিত করেন।

অন্যদিকে, বেজোস এবং ট্রাম্পের সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরে টানাপোড়েনের মধ্যে ছিল। বেজোসের মালিকানাধীন ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’ ট্রাম্পের কঠোর সমালোচনা করেছে। তবে সাম্প্রতিক নির্বাচনের আগে পত্রিকাটি কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে সমর্থন করেনি, যা মার্কিন গণমাধ্যমকে অবাক করেছে।

জাকারবার্গের ডানপন্থী অবস্থান ইতিমধ্যে মেটা পর্যবেক্ষকদের মধ্যে বিস্ময় সৃষ্টি করেছে। নির্বাচনের পরে তিনি ট্রাম্পের অভিষেকোত্তর একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সহ-আয়োজক হবেন বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে, বেজোসের প্রতিষ্ঠান দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট-এর কিছু প্রতিবেদনের দাবি অনুযায়ী, পত্রিকাটির বোর্ড ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিসের পক্ষে একটি সম্পাদকীয় প্রকাশের চেষ্টা করেছিল। তবে বেজোস নিজেই তা আটকে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে, যদিও পত্রিকার নেতৃত্ব এই দাবি অস্বীকার করেছে।

ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে এই তিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তার অংশগ্রহণ তাদের রাজনৈতিক কৌশল এবং সম্পর্ক উন্নয়নের প্রচেষ্টার স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights