ডেমোক্র্যাট হয়েও যে কারণে ট্রাম্পকে ভোট দিলেন তাঁরা?

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি

নিউইয়র্ক, টেক্সাস, ফ্লোরিডা, ম্যারিল্যান্ড, নিউজার্সি স্টেটের ডেমক্র্যাটিক পার্টির তালিকাভুক্ত অসংখ্য ভোটার কমলা হ্যারিসের পরিবর্তে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছেন। দিন যত গড়াচ্ছে ট্রাম্পের প্রতি ভোটারদের এই আগ্রহ তত বাড়ছে।

ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সরব সংগঠক হয়েও কেন রিপাবলিকান ট্রাম্পকে ভোট দিলেন? জবাবে লংআইল্যান্ডের ব্যবসায়ী এবং বিএনপি নেতা আক্তার হোসেন বাদল, নিউইয়র্ক সিটির খ্যাতনামা নির্মাণ ব্যবসায়ী আব্দুল কাদের মিয়া, ম্যারিল্যান্ডস্থ কমিউনিটি লিডার শেখ সেলিম বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক শান্তি স্থিতি এবং নিরাপত্তার কথা বিশেষ করে আমেরিকার অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে ট্রাম্পের বিকল্প নেই। এছাড়াও সীমান্ত সুরক্ষা এবং আমেরিকান হিসেবে আমাদের ন্যায্য সুবিধাসমূহ পুনর্বহালে ট্রাম্পের অঙ্গীকার রয়েছে। বিভিন্ন দেশে চলমান যুদ্ধ থামাতেও ট্রাম্প একমাত্র নেতা বলে মনে করছেন তাঁরা।

ডেমোক্র্যাট হয়েও কেন গ্রীন পার্টির প্রার্থী জিল স্টাইনকে ভোট দিলেন -এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশী আমেরিকান এডভোকেসি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট জয়নাল আবেদিন বলেন, কমলা হ্যারিস এবং ট্রাম্প উভয়কেই শান্তি এবং স্থিতি প্রতিষ্ঠার জন্য উপযুক্ত মনে করিনি। বিশেষ করে গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ বন্ধে তারা কিছুই করবেন না বলে মত তাঁর। সেজন্য গ্রীন পার্টিকে ভোট দিয়েছেন তিনি। তিনি জানান, তাঁর মতো মত অনেকেই কমলার পরিবর্তে জিলকে ভোট দিয়েছেন। এটা হচ্ছে অমানবিকতার প্রতিবাদ।
টেক্সাস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির রিফিউজি কাউন্টির চেয়ারপার্সন রহিম নিহাল বলেন, দলের প্রতি আনুগত্য প্রকাশের জন্য কমলাকে ভোট দিতে হয়েছে, তবে অন্য সকল প্রবাসীকে উজ্জীবিত করেছি ট্রাম্পকে ভোট দিতে।

ফ্লোরিডার ব্যবসায়ী এবং ফোবানার চেয়ারপারসন আতিকুর রহমান এবং নিউজার্সিস্থ আমেরিকা বাংলাদেশ আমেরিকা এলায়েন্সের প্রেসিডেন্ট এম এ সালাম বলেন, বিশ্ব তাকিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্রের দিকে। কারন মার্কিন প্রেসিডেন্টের ওপর নির্ভর করে সামনের দিনগুলোর বিশ্ব পরিস্থিতি নির্ভর করছে। ট্রাম্প আমলে গোটা বিশ্ব থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল, জাতিসংঘ থেকে অনুদান বন্ধ করা হয়েছিল। এভাবে কী মানবিক হওয়া যায়? এছাড়াও ট্রাম্প প্রতিনিয়ত অভিবাসীদেরকে বিদ্বেষী দৃস্টিতে দেখেন, অথচ এই আমেরিকা গড়ে উঠেছে অভিবাসীদের রক্তের বিনিময়ে।
তবে সাধারণ প্রবাসীরা গাজা পরিস্থিতির কারনে কমলার পরিবর্তে ট্রাম্পকে ভোট দিচ্ছেন মনে জানিয়েছেন তাঁরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights