ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নেই যাত্রী ও যানবাহনের চাপ

এম এ শাহীন, সিদ্ধিরগঞ্জ

রাত পোহালেই পালিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। দিনটি উদযাপনের জন্য ঘড়ির কাঁটায় সময় গুনছেন মানুষেরা। প্রিয়জনের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগির লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা দিতেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষ এবং যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ লক্ষ্য করা গিয়েছিল। তবে ঈদযাত্রার শেষদিন অর্থাৎ আজ রবিবার সকালে অন্যান্য দিনের তুলনায় যানবাহন ও যাত্রীর তেমন চাপ দেখা যায়নি।

রবিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের অংশে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা মেলে, মহাসড়কের শিমরাইল মোড় থেকে সাইনবোর্ড অংশের বাস কাউন্টারগুলো অনেকটা ফাঁকা। টিকিট কাউন্টারের কর্মকর্তারাও আরাম-আয়েশে আড্ডা দিচ্ছেন। এদিকে গেল তিনদিন যাত্রীর উপচে পড়া ভীড়ে গাড়ি চালকরা দম নেওয়ার সময় না পেলেও আজ স্টেশনে যাত্রীর জন্য দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে লক্ষ্য করা গেছে।
নিজ গ্রাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাবেন বিকাশ বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি। যাত্রা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য ঘুছিয়ে আজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। আজ তেমন ভীড় নাই, ধারণা করছি আড়াই ঘণ্টাতেই পৌঁছাতে পারব।

দূরপাল্লার কয়েকজন গাড়ি চালক বলেন, বুধবার থেকে দম ফালানোর সময় ছিল না তাদের। যাত্রীর অতিরিক্ত চাপে এবারের ঈদ যাত্রায় সুফল পেয়েছেন তারা।

মো. মনির হোসেন নামে টিকিট কাউন্টারের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত তিনদিন অতিরিক্ত চাপ ছিল যাত্রীর। তবে যাত্রীর চাপ থাকলেও যথেষ্ট গাড়ি দিতে ব্যর্থ হয়েছেন তারা। অনলাইন কিংবা অফলাইন দু’টিতে সমতালে টিকিট বিক্রি হয়েছিল। আজ চাপ অনেকটা কম, অল্প অল্প করে মানুষ আসছেন আর টিকিট কাটছেন।

সড়কের পরিস্থিতি সম্পর্কে শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ টিআই একেএম শরফুদ্দীন বলেছেন, মানুষের এবারের ঈদ যাত্রা ছিল স্বস্তির। সড়কে কোনো যানজট সৃষ্টি হয়নি। আমরা সর্বক্ষণ সড়ক আছি। মানুষজন নির্বিঘ্নে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক জানান, মানুষের যাত্রায় যেন কোনো প্রকার ভোগান্তি কিংবা হয়রানি না হয় সেজন্য আমাদের থানা পুলিশের টিম প্রতিদিন মহাসড়কে ছিল-আছে। এখন পর্যন্ত মানুষজন নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পাড়ছেন। জনগণের জানমাল নিরাপদ রাখতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights