ঢাবির ভর্তি বিজ্ঞপ্তি থেকে ‘ট্রান্সজেন্ডার’ শব্দ বাদ দেওয়ার দাবি
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি বিজ্ঞপ্তি থেকে ‘ট্রান্সজেন্ডার’ শব্দটি প্রত্যাহার করে সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এজন্য আগামী ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন তারা।
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজা) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সাখাওয়াত জাকারিয়া। এসময় আন্দোলনরত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় তিনি বলেন, আমরা এটা পরিষ্কার করে বলতে চাই, হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডার এক নয়। ট্রান্সজেন্ডার শব্দ দ্বারা শুধু হিজড়াদেরকেই বোঝানো হয় না। বরং যারা নিজের খেয়াল খুশিমতো নিজেকে ছেলে/মেয়ে দাবি করবে তাদেরকেও অন্তর্ভুক্ত করে। আমরা হিজড়া জনগোষ্ঠীর কোটার অধিকারের পক্ষে।
এর আগে, ভর্তি পরীক্ষায় ‘ট্রান্সজেন্ডার’ কোটা বাতিলের দাবিতে গত ২২ ডিসেম্বর উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাকে একটি স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা। সেসময় উপাচার্য জানিয়েছিলেন ইচ্ছাকৃত লিঙ্গ পরিবর্তনকারীদের কোটায় আওতায় আনা হবে না। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, যদিও উপাচার্য বলেছেন ’ট্রান্সজেন্ডার’ শব্দ দ্বারা তারা শুধু হিজড়াদেরকেই অন্তর্ভুক্ত করেছেন। কিন্তু যেহেতু ট্রান্সজেন্ডার শব্দটি শুধু হিজড়া নয়, বরং যারা ইচ্ছাকৃতভাবে লিঙ্গ পরিবর্তন বা নিজেকে খেয়ালখুশি মতো ছেলে/মেয়ে দাবি করে বসে তাদেরকেও অন্তর্ভুক্ত করে। তাই এ ধরনের একটি শব্দকে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অন্তর্ভুক্ত করা তথাকথিত ‘ট্রান্সজেন্ডারদের’ সমাজ ও সংস্কৃতি পরিপন্থি বিকৃত এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, ভর্তি বিজ্ঞপ্তি থেকে বিতর্কিত ‘ট্রান্সজেন্ডার’ শব্দের প্রত্যাহার করার মাধ্যমে চলমান বিতর্কের নিরসন করা হবে। যেহেতু আগামী ৫ জানুয়ারি ভর্তি আবেদনের সময়সীমা শেষ হচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ অভিভাবক হিসেবে উপাচার্য আমাদের দাবি মেনে নেবেন।
সাখাওয়াত জাকারিয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য শিক্ষার্থীবান্ধব। ইতিপূর্বে যতবারই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অসুবিধা নিয়ে তার কাছে গিয়েছি, তিনি ততবারই দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যাগুলো সমাধানে তড়িৎ পদক্ষেপ নিয়েছেন। আমরা এবারও তার প্রতি আস্থা রেখে আমাদের দাবি পুনরায় ব্যক্ত করছি। আমরা চলমান এই বিতর্কের শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই। কিন্তু যদি তা না করা হয়, তবে শিক্ষার্থীরা বসে থাকবে না। শিক্ষার্থীরা পড়ার টেবিল ছেড়ে রাজপথে নেমে আসতে বাধ্য হবে।