‘তারেক রহমানের শিগগিরই বাংলাদেশে আসা উচিত’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। সেই সঙ্গে শিগগিরই তারেক রহমানের বাংলাদেশে আসা উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসভবনে গিয়ে তার খোঁজ-খবর নেন চীনা রাষ্ট্রদূত ওয়েন।

এরপর, এ বিষয়ে ব্রিফিংকালে গণমাধ্যমের কাছে চীনা রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য তুলে ধরেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত এয়ার ভাইস মার্শাল আলতাফ হোসেন চৌধুরী।

তিনি বলেন, চীনের রাষ্ট্রদূত, ডেপুটি চিফ অব দ্য মিশন, পলিটিক্যাল অ্যাটাশে ও দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন। উনারা অনেকক্ষণ এখানে ছিলেন। বিএনপি ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যকার পুরোনো বন্ধুত্ব নিয়ে কথা হয়েছে। বর্তমানে তারা কী ধরনের বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে চান, তা নিয়েও কথা বলেছেন।

তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, জিয়াউর রহমানের কথা স্মরণ করে, তিনি যে প্রথম চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরু করেছিলেন, এটা তারা তুলে ধরেছেন। খালেদা জিয়ার শাসনামলের ‘লুক ইস্ট পলিসি’ নিয়েও কথা হয়েছে।

আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বৈঠক হয়। আমি মনে করি এটা অত্যন্ত সুন্দর, সুষ্ঠু ও বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল। সৌজন্য সাক্ষাতে কথা হয়েছে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়েও। তিনি যে বাংলাদেশ থেকে ছয় হাজার মাইল দূরে বসেও বাংলাদেশ তথা সারা পৃথিবীতে বিএনপির পলিটিক্স নিয়ন্ত্রণ করছেন, তারা সেটির প্রশংসা করেছেন। তার (তারেক রহমান) যে শিগগিরই বাংলাদেশে আসার কথা… আসা উচিত এটাও তারা বলেছেন।

রাষ্ট্রদূত খালেদা জিয়াকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ম্যাডাম উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাচ্ছেন, সেটির ব্যাপারে চীনের রাষ্ট্রদূত খোঁজ-খবর নিয়েছেন। ম্যাডাম যদি উন্নত চিকিৎসার জন্য চীন চায়নায় যেতে চান, সেটির জন্যও তারা আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। চিকিৎসা ছাড়াও ম্যাডামকে চীন সফর করার জন্য তারা আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া কবে দেশের বাইরে যাবেন, এ বিষয়ে চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কোনো কথা হয়েছে কিনা? এ প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ম্যাডাম চিকিৎসার জন্য কবে দেশের বাইরে যাবেন সেটি নিয়ে আলাপ হয়নি।

ভারতে বাংলাদেশের দূতাবাসে হামলা এবং পতাকা অবমাননার বিষয়ে তারা অবগত আছে কিনা? বর্তমান ভূ-রাজনীতি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইনশর্ট (সংক্ষেপে) যদি বলেন, তাহলে বাংলাদেশ-চীন রিলেশন, বাংলাদেশ-সাউথ এশিয়া রিলেশন এ নিয়ে হালকা কথাবার্তা হয়েছে। ইদানীং ভারতে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে বা ইসকনকে নিয়ে বাংলাদেশে যে ঘটনা ঘটেছে… এ নিয়ে বিস্তারিত আলাপ হয়নি। কিন্তু তারা প্রতিটি ঘটনা জানে।

জানা গেছে, সাক্ষাৎকালে খালেদা জিয়াকে চীনের ঐতিহ্য সংবলিত দেয়ালে টানানোর ব্যানার ও সিরামিক প্লেট উপহার দেন রাষ্ট্রদূত। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনও উপস্থিত ছিলেন। রাত ৮টা ৫০ মিনিটে বেগম জিয়ার বাসা ত্যাগ করেন ইয়াও ওয়েন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights