তৃতীয় পক্ষের উস্কানিতে হামলা ও সংঘর্ষ, দাবি সোহরাওয়ার্দী কলেজ শিক্ষার্থীদের

বিশ্ববিদ্যাল প্রতিবেদক
তৃতীয় পক্ষের উস্কানিতে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা বলেন, ইউনাইটেড কলেজ অফ বাংলাদেশ (ইউসিবি) নামের তৃতীয় পক্ষের উসকানিতে এ সংঘর্ষ হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ ঘটনার সাথে জড়িত নন।

মঙ্গলবার বিকেলে কলেজ প্রাঙ্গণে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী লিখন ইসলাম বলেন, তৃতীয় পক্ষের উসকানিতে মূলত এ সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়েছে। এর সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা জড়িত নন। আমাদের নাম ব্যবহার করে তারা হামলা করেছে। আগামীতে কোনো ধরনের ঝামেলায় না জড়ানোর অনুরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

এ শিক্ষার্থী আরও বলেন, ইউনাইটেড কলেজ অফ বাংলাদেশ (ইউসিবি) নামে একটি সংগঠন তৃতীয় পক্ষ হিসেবে কাজ করে আসছেন। মোল্লা কলেজের সাথে আমাদের ব্যক্তিগত কোনো ঝামেলা নাই। ইউসিবি মূলত এ দ্বন্দ্বের সাথে সম্পৃক্ত। আমাদের কোনো শিক্ষার্থী ওইদিন ন্যাশনাল মেডিকেলের সামনে যায়নি এবং কোনো হামলাও করেনি।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, রবিবার পরীক্ষা চলাকালীন তারা আমাদের কলেজ এবং নারী শিক্ষার্থী সহ অনেক শিক্ষার্থীর গায়ে হাত তুলেছেন। যা খুবই নিন্দনীয় ও কষ্টের। তবে আমরা চেয়েছি এটি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান হোক কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারেনি। এজন্য আমরা দেশবাসীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। আশা করি সামনে আমাদের শিক্ষার্থীরা আর কোনো সংঘাতে জড়াবে না।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, আমরা দেশের আইন-শৃঙ্খলা এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা চাই এ হামলার সুষ্ঠু তদন্ত হয়ে সঠিক তথ্য সামনে আসুক। আমাদের যথেষ্ট গোয়েন্দা সংস্থা রয়েছে তারা চাইলেই সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করতে পারবে। মোল্লা কলেজ, কবি নজরুল কিংবা অন্য কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই আমাদের প্রতিপক্ষ নয় বরং আমরা সবাই ভাই ভাই। আমরা বাংলাদেশে সকল কলেজের শিক্ষার্থীরা শান্তিতে থাকতে চাই।

উল্লেখ্য, অভিজিত হাওলাদারের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ ও কবি নজরুল-সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে মোল্লা কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী কলেজে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এছাড়াও সংঘর্ষে তিন কলেজের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights