দেশের কল্যাণ ও সমৃদ্ধিতে অসামান্য অবদান রাখছে বসুন্ধরা গ্রুপ
অনলাইন ডেস্ক
দেশের সর্বদক্ষিণের জেলা পটুয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা রাঙ্গাবালী। সাগর-নদী বেষ্টিত জনপদের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার আওতায় এনেছে বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুল। বসুন্ধরা গ্রুপের অর্থায়নে পরিচালিত স্কুলটি আলোকিত করেছে চরের শিশুদের। সারা দেশের সুবিধাবঞ্চিত, অসহায় শিশুদের পড়াশোনার সুযোগ করে দেওয়াসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখে চলেছে বসুন্ধরা গ্রুপ।
বসুন্ধরা শুভসংঘের মানবিক এসব কাজে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের উদারতার পরিচয় মিলেছে। পাশাপাশি বলতে গেলে বসুন্ধরার বাণিজ্যিক নানা কর্মকাণ্ড দেশের কল্যাণ ও সমৃদ্ধিতে অসামান্য অবদান রাখছে।
দেশের অন্যতম এই শিল্প পরিবার ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি যেভাবে মানবিক কাজ অব্যাহত রেখেছে, তা খুবই প্রশংসার দাবিদার। ‘দেশ ও মানুষের কল্যাণে’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে কাজ করা এই প্রতিষ্ঠানটি দেশের একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও তাদের মানবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে।
আমার কাছে মনে হয়েছে, বসুন্ধরা গ্রুপ শুধু দেশের একটি বড় শিল্প পরিবারই নয়, মানবিকতার শীর্ষেও রয়েছে তাদের স্থান। দেশের ক্রান্তি ও দুর্যোগকালে মানুষের কল্যাণে চিকিৎসাসেবা ও খাদ্য সহায়তা দিয়ে অবদান রেখেছে তারা। আমরা দেখেছি, রাঙ্গাবালী উপজেলার বিচ্ছিন্ন এলাকা চর ইমারশনের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসার জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছে। ওই সব শিক্ষার্থীকে বিনা মূল্যে শিক্ষাসামগ্রী দেওয়া থেকে শুরু করে পড়ালেখায় সব ধরনের সহযোগিতা করে আসছে, যা সত্যি ভালো লাগার বিষয়।
শীতকালে দরিদ্রদের জন্য কম্বল বিতরণ এবং ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ সহায়তা দেওয়াসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ ভূমিকা রাখছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। আমরা আশা করব, উপজেলার পিছিয়ে থাকা মান্তা জনগোষ্ঠীর জন্য বসুন্ধরা গ্রুপ মানবিক কার্যক্রম সম্প্রসারিত করবে। এ ছাড়া রাঙ্গাবালী উপজেলায় চরনজির নামে আরেকটি বিচ্ছিন্ন চর রয়েছে, যেখানে পাঁচ শতাধিত লোকের বাস। সেখানকার শিশুদের জন্যও বসুন্ধরা শুভসংঘ তাদের মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দেবে, এটি আমাদের প্রত্যাশা। এতে এগিয়ে যাবে দেশ ও দেশের মানুষ।
‘শুভ কাজে সবার পাশে’ থাকুক বসুন্ধরা শুভসংঘ এবং দেশ ও মানুষের কল্যাণে এগিয়ে চলুক বসুন্ধরা গ্রুপ। তাদের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি।