দেশের সর্বত্র নারীরা যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম:
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) লুৎফুন নাহার বলেছেন, নারী জাতির ক্ষমতায়ন ছাড়া দেশের কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব নয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন সফল নারী। পুরুষের পাশাপাশি নারী সমাজের উন্নয়নে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বলেই দেশের সব জায়গায় মহিলা সচিব থেকে শুরু করে বিভাগীয় কমিশনার-ডিসি-এসপি, ইউএনও-ম্যাজিস্ট্রেট-ওসি ও অন্যান্য স্থানে ঊর্ধ্বতন মহিলা কর্মকর্তারা তাদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রেছে চলেছেন।

শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এবার দিবসের প্রতিপাদ্য হল ‘নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগ, এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ’। আলোচনা সভার পূর্বে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসানের নেতৃত্বে সার্কিট হাউজ থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। অনুষ্ঠানে নারী কল্যাণমুখী ১৭টি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির হাতে অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসানের সভাপতিত্বে ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক দিলরুবা বেগমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার পান্না আক্তার, স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাধবী বড়ুয়া। বক্তব্য রাখেন নারী নেত্রী ও সমাজকর্মী জেসমিন সুলতানা পারু, আবিদা আজাদ, ওয়ার্ল্ড ভিশনের কর্মকর্তা জনি রোজারিও, ব্র্যাকের সমন্বয়কারী এনামুল হাসান প্রমুখ। এছাড়া চট্টগ্রামে কর্মরত এনজিও এবং নিবন্ধিত স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে রাকিব হাসান বলেন, সমাজ ও দেশের উন্নয়নে নারীদের অবদান অনেক বেশি। মহান স্বাধীনতা সংগ্রামেও নারীদের অনেক আত্মত্যাগ ছিল। নারীরা কখনো পুরুষদের প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। প্রধানমন্ত্রী একজন সফল নারী। দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নারীরা কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে এখন সব পেশায় সর্বক্ষেত্রে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হচ্ছে। দেশে এমন কোন পেশা নেই যেখানে মেয়েরা কাজ করতে পারবে না।