নিখোঁজের দিনগুলি পুরোপুরি মনে নেই সমন্বয়ক খালেদের
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক খালেদ হাসান দাবি করেছেন, নিখোঁজ থাকা চারদিনের কোনো স্মৃতিই পুরোপুরি মনে নেই তার। বৃহস্পতিবার বিকাল পাঁচটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন তিনি।
এসময় তার সঙ্গে তার বাবা লুৎফর রহমান উপস্থিত ছিলেন। খালেদের ওপর ‘জিনের আছর’ থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা করেন তার বাবা। এর আগেও ‘দুয়েকবার’ খালেদ এরকম নিখোঁজ হয়েছিল বলেও সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন খালেদ ও তার বাবা।
সর্বশেষ খালেদ নবম বা দশম শ্রেণিতে থাকা অবস্থায় এমন পাঁচ-ছয়দিনের জন্য নিখোঁজ হয়েছিল বলে উল্লেখ করে খালেদের বাবা লুৎফর রহমান বলেন, ৯ম বা ১০ম শ্রেণিতে থাকাকালীন সে একবার এরকম নিখোঁজ হয়ে যায়। পরবর্তীতে কয়েকদিন পরে তাকে পাওয়া যায়; কিন্তু এই বিষয়টি আমরা খালেদকে জানাইনি।
ডাক্তারের বরাত দিয়ে খালেদের বাবা জানান, সে বর্তমানে মানসিক ও শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ। আগামী শনিবার আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর খালেদের মানসিক অবস্থার বিষয়ে আরও জানা যাবে।
ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য সবার দৃষ্টি ফেরাতে এতো দিন আত্মগোপনে থাকার অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে খালেদ বলেন, ডাকসু নিয়ে এখনও আমার কোনো পরিকল্পনা নেই। আমি দাঁড়াবো কি না সেটি এখনও ঠিক করিনি। তবে যদি দাঁড়াই, তার জন্য আমাকে এ ধরনের পথ বেছে নিতে হবে এমনটি আমার মনে হয় না। তবে ডাকসু নিয়ে আমার এখনও কোনো প্ল্যান নেই।
প্রসঙ্গত, খালেদ হাসান নিখোঁজ হওয়ার চারদিন পর গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় নিজ হলে ফিরে আসেন। এরপর দু’দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এদিকে তার নিখোঁজ হওয়া এবং ফিরে আসার তথ্যে শিক্ষার্থীদের মনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের অনেকের দাবি, প্রচারের জন্য আত্মগোপনে ছিলেন খালেদ। এসব প্রশ্নের জবাব দিতে বাবাসহ সংবাদ সম্মেলনে আসেন এই সহ-সমন্বয়ক।