নিরাপদ সড়কের দিক থেকে ভারতের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান: কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়াদুর কাদের সংসদে জানিয়েছেন, বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনার হার দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ বিষয়টি সত্য নয়। প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে নিরাপদ সড়কের দিক থেকে ভারতের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে পেশাদার মোটরযান চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়নকালে ডোপ টেস্ট রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

জাতীয় সংসদের ২১তম অধিবেশনে রবিবার টেবিলে উপস্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সদস্য এম আব্দুল লতিফের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনার হার দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ বিষয়টি সত্য নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক সর্বশেষ ২০১০ সালে প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড হেলথ র‌্যাংকিং অনুসারে ১৮৩টি দেশের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হারে বাংলাদেশের অবস্থা ১৮৮ তম (মৃত্যু হার এক লক্ষে ১৬.৭৪ জন)। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে ২০২০ সালে নেপাল, শ্রীলংকা, ভুটান ও ভারতের অবস্থান যথাক্রমে ৭২, ৮২, ৮৫ ও ৯০তম। অর্থাৎ প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে নিরাপদ সড়কের দিক হতে ভারতের পরেই আমাদের অবস্থান।
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নকল্পে গত বছর ৩০ জানুয়ারি হতে পেশাদার মোটরযান চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়নকালে ডোপ টেস্ট রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরে কয়েকটি হাসপাতাল এবং অন্যান্য জেলা হাসপাতালে গাড়ী চালকদের ডোপটেস্টের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ভারী যানবাহনের ড্রাইভারদের লাইসেন্স নবায়নের সময় ডোপটেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা জোরদারকরণ এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে বিআরটিএ’র নির্দেশনা অনুযায়ী বিআরটিসি’তে কর্মরত সকল চালকের পর্যায়ক্রমে ডোপ টেস্ট (মাদক পরীক্ষা) কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বিভিন্ন সড়কে ৬টি বাঁক সোজা করা হয়েছে। মহাসড়কসমূহে ডিভাইডার বসানো হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সকল মহাসড়কে সার্ভিস পেন নির্মাণ করা হচ্ছে। আন্ত মন্ত্রণালয় সভা করে পরিবহন শ্রমিক ও মালিক সমিতির মতামত গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। গাড়ি চালকদের বিশ্রামের জন্য চারটি বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১টি বিশ্রামাগার নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights