নীলক্ষেত মোড় অবরোধ সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ৫

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ হতে সিজিপিএ-র শর্ত শিথিল করে মানোন্নয়ন পরীক্ষার বসায় সুযোগ দানের দাবিতে আবারও রাজধানীর নীলক্ষেত অবরোধ করে আন্দোলন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। রবিবার এ কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন কয়েকজন শিক্ষার্থী। পরে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তারা।

এর আগে, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে মিছিল নিয়ে নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এতে মোড়ের আশেপাশের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন যাতায়াতকারী সাধারণ মানুষ। এসময় কাফনের কাপড় পরেও কয়েকজনকে আন্দোলনে অংশ নিতে দেখা যায়।

এদিকে, আন্দোলনে যোগ দেন সাত কলেজের শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। আন্দোলনকারীদের একজন সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী রুবেল হোসেন জানান, আমাদের এখান থেকে অসুস্থ হয়ে এখন পর্যন্ত বারোজন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেছে। এরমধ্যে জানামতে পাঁচ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বিশ্রামে আছেন।
জানা যায়, হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন, শাহরিয়ার আলম (২৪) তকিবুর রহমান বাপ্পি (২৪) সোনিয়া আক্তার (২৩) মাহফুজ (২৪) ও রাজিব (২২)।

ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, হাসপাতালে আসার শিক্ষার্থীদের কারও অবস্থা গুরুতর নয়। সবাই সুস্থ আছেন।

এদিকে, অবরোধ শুরুর পর সাত কলেজের শিক্ষকদের একটি দল তাদের সাথে দেখা করেন। এসময় তারা শিক্ষার্থীদের অন্তত আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত রাখার অনুরোধ করেন। তবে, শিক্ষার্থীরা এতে রাজি হননি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দাবি না পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।

এর আগে, শনিবার সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সিজিপিএ’র শর্ত শিথিল করে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশন দেওয়ার এক দফা দাবিতে গণ-অনশন করার ঘোষণা দেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা বলছেন, তিন মাসের মধ্যে চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার নিয়ম থাকলেও কখনও কখনও সেটি আট থেকে নয় মাস লেগে যায়। ফলে কোন বর্ষে ইনকোর্স পরীক্ষা শেষ করে চূড়ান্ত পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে গিয়ে দেখা যায় কোন শিক্ষার্থী পূর্ববতী বর্ষে উত্তীর্ণ হননি। ফলে ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয় তাদের। এজন্য তারা চান, অকৃতকার্য সর্বোচ্চ তিনটি বিষয়ে মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। এক্ষেত্রে সিজিপিএ-র শর্তও শিথিল করার দাবি তাদের।

কী বলছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমাদের নিয়মের বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ নাই। পড়াশুনার মান ঠিক রাখতে হবে। এরপর বিবেচনা করতে হবে, কোন বিষয়টা ‘এ্যাড্রেস’ করা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights