পথশিশুদের গায়ে নতুন জামা, হাতে রঙিন মেহেদী
মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা
কুমিল্লা নগরীর একটি অভিজাত হোটেল। ইফতার আয়োজন করা হয়। অংশগ্রহণকারী ২৫ জন শিশু। এরপর তাদের হাতে তুলে দেয়া হয় নতুন জামা। অনুষ্ঠানস্থলে মেহেদীর মিষ্টি গন্ধ। শিশুদের হাতে মেহেদীতে ফুটে উঠেছে ঈদের বাঁকা চাঁদ। তাদের চোখে মুখে খুশির আমেজ। তাদের ঈদ যেন দুদিন আগেই শুরু হয়েছে। অংশগ্রহণকারীরা কুমিল্লা নগরীর পথশিশু। কারো বাবা নেই। কারো মা নেই। আবার কারো কেউই নেই। তবে পিতৃ বা মাতৃ হারানোর এই শিশুদের অভাব ঘুচাতে প্রতি ঈদে তাদের সঙ্গ দেয় একদল স্বেচ্ছাসেবী। বৃহস্পতিবার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অন্বেষণ তাদের এই আনন্দের সুযোগ দেয়।
মোবারক হোসেন, তানিয়া আক্তার ও সামিয়া আক্তার বলেন, নতুন পোশাক কেনার কথাতো চিন্তাও করতে পারিনা। আমাদের কে কিনে দেবে নতুন জামা? কে হাতে লাগিয়ে দেবে মেহেদী। আমাদের অনেক খুশি লাগছে।
সংগঠনের সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ মিজান বলেন, ঈদ আমাদের ঘরে ঘরে আসে। কিন্তু এই পথশিশুরা ঈদের আনন্দ তেমন পায় না। পথশিশুদের কথা মাথায় রেখে ১০ বছর আগে আমরা আমাদের ঈদ আনন্দের ভাগ দেয়ার কথা চিন্তা করি। আমাদের সকল সদস্যই শিক্ষার্থী। তারা নিজেদের অর্থায়নে এসব শিশুদের জন্য ঈদ আনন্দ আয়োজন করে যাচ্ছে। এবছর আমরা ২৫ জন শিক্ষার্থীদের নতুন ঈদ জামা ও তাদের হাতে মেহেদী লাগিয়ে দিয়েছি।
উল্লেখ্য, সংগঠনের উপদেষ্টা মো. রুহুল আমিন ও সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ মিজান, ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র জাহিদ হাসান ছোটন ২০১৩ সালে পথশিশুদের প্রথম পড়ানোর উদ্যোগ নেন। পথশিশুদের মাদক থেকে ফিরিয়ে পড়ায় বসানো হয়। বস্তি এলাকা ও বিভিন্ন পাড়ায় গিয়ে শিশুদের সংগ্রহ করা হয়। তাদের হাত খরচ থেকে শিশুদের পড়ার ব্যয় মেটানো হয়।