পর্যটক শূন্য রাঙামাটি, সাজেকে জমজমাট রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু

রাঙামাটি এখনো পর্যটক শূন্য। তবে জমজমাট সাজেক। দূর-দূরান্ত থেকে আগত পর্যটকে মুখরিত সাজেকের পাহাড়ি জনপদ। তবে রাঙামাটি শহরের একেবারেই ভিন্ন চিত্র। পর্যটক শূন্যতায় ভাটা পড়েছে পর্যটন ব্যবসা। দীর্ঘদিন রাঙামাটির পর্যটন কমপ্লেক্সের ঝুলন্ত সেতুটি কাপ্তাই হ্রদের পানিতে ডুবে থাকার কারণে পর্যটক উপস্থিতি কমে গেছে রাঙামাটিতে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি শুরু হয়েছে পর্যটন মৌসূম। প্রকৃতির রূপ বৈচিত্র্য আর মৌসুম অনুকূলে থাকলেও ভাগ্য যেন সাথে নেই পার্বত্যাঞ্চলের মানুষের। টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের শঙ্কা আর রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধির কারণে ডুবে গেছে পর্যটন ঝুলন্ত সেতু। ভেঙে যাচ্ছে সড়ক। তাই উল্লেখ্যযোগ্য হারে কমেছে পর্যটক আনাগোনা।

অন্যদিকে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নে বেড়েছে পর্যটক উপস্থিতি। প্রায় প্রতিদিন আসছে হাজারো পর্যটক। প্রকৃতির টানে দূর-দুরান্ত থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে আসছে পাহাড় ঘেঁষা মেঘের রাজ্য সাজেকে। নদী কাছে না থাকলেও মেঘের আকাশ ছুয়েছে সাজেককে। সকালে থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দেখা মিলে সাজেকে মেঘের লুকোচুরি খেলা। প্রকৃতির এ অশ্চর্য সৌন্দর্য আকর্ষণের মুগ্ধ হয়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।
সাজেকে বেড়াতে আসা পর্যটক রায়হান ও মাহির জানায়, সাজেক শুনেছি রাঙামাটির একটা অংশ। তবে এখানে আসতে হয় খাগড়াছড়ি জেলার সড়ক পথে। ঢাকা কিংবা চট্টগ্রাম, যেখান থেকে আসিনা কেন খাগড়াছড়ি হয়েই যেতে হবে সাজেক। তাই এক সাথে দুইটা জেলা দেখা হয়ে যায়। সাজেকে অনেক বেশি অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। সুন্দর সুন্দর মোটেল হোটেল হয়েছে। সত্যি সব কিছুই সুন্দর।

একইভাবে মনের ভাব প্রকাশ করলেন শাহানারা। তিনি বলেন, রাঙামাটি শহরে পর্যটনের একটা মাত্র ঝুলন্ত সেতু। তাও পানির নিচে। এ ছাড়া ভালো কোনো পর্যটন কেন্দ্র গড়ে ওঠেনি। আধুনিকতার ছোয়া লাগেনি ওখানে। তাই সবাই এখন সাজেকমুখী।

রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা জানায়, পর্যটন তুলনামূল কমেছে। কারণ ঝুলন্ত সেতুটি এখনো পানির নিচে। তবে মোটেলগুলো বুকিং থাকে সব সময়। আমাদের রাজস্ব আয়ের একটি বিরাট অংশ ছিল ওই ঝুলন্ত সেতু টিকিট বিক্রি করে। কিন্তু সেটা এখন বন্ধ।

অন্যদিকে রাঙামাটি পর্যটন কেন্দ্রগুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সর্ম্পকিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার। তিনি বলেন, আঞ্চলিক রাজনৈতির প্রভাব আছে এখানে। সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজির কারণে এখানে পর্যটন কেন্দ্রগুলো উন্নয়ন করা যাচ্ছে না। এ ছাড়া একটি মহল চায়, পাহাড়ে যেন পর্যটক না আসে। তাই তারা অপহরণ আতঙ্ক অব্যাহত রেখেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights