পাটুরিয়ায় ডুবে যাওয়া ফেরি উদ্ধারের চেষ্টা, নিখোঁজ ১
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটে ৯টি ট্রাকসহ ডুবে যাওয়া ‘রজনীগন্ধ্যা’ নামের ফেরি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ফেরি উদ্ধারে হামজা নামে একটি উদ্ধারকারী জাহাজ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। আরেকটি উদ্ধারকারী জাহাজ ঘটনাস্থলে রওয়ানা দিয়েছে।
ফেরিডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া একজন নিখোঁজ রয়েছেন। তাকেও উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস।
জানা গেছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে রজনীগন্ধা ফেরি পাটুরিয়ার দিকে ছেড়ে আসে। ফেরিটিতে মোট নয়টি মালবাহী ট্রাক ছিল। তবে কুয়াশার তীব্রতা বৃদ্ধি পেলে পাটুরিয়া ঘাটের কাছাকাছি স্থানে নোঙর করে রাখা হয় ফেরিটি। একপর্যায়ে সকালের দিকে আস্তে আস্তে ফেরিটি ডুবে যায়।
পরে ট্রাকের চালক, হেলপার ও জাহাজের লোকদের জীবিত উদ্ধার করা হলেও ফেরির সেকেন্ড মাস্টার হুমায়ুন কবীর এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। ফেরি উদ্ধারে হামজা নামে একটি উদ্ধারকারী জাহাজ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। আরেকটি উদ্ধারকারী জাহাজ ঘটনাস্থলে রওয়ানা দিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী নাজমুল জানান, আমি ভাঙ্গারী মাল নিয়ে ট্রাকের সাথে ঢাকা যাচ্ছিলাম। ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়া ঘাটের কাছাকাছি আমাদের ফেরিটি নোঙর করে রাখা ছিল। রাত তিনটার দিকে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায়। এ সময় দেখা যায় ফেরিটি আস্তে আস্তে ডুবে যাচ্ছে। পরে নৌ কর্তৃপক্ষ আমাদের উদ্ধার করে।
তিনি আরও বলেন, ফেরিতে ছোট-বড় মিলে ৯টি ট্রাক ছিল এবং সবগুলো ট্রাক বিভিন্ন মালামালে ভরা ছিল।
খৈমুদ্দিন নামে এক ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী বলেন, ফেরিতে আমার ভুট্টা ভর্তি দুইটি ট্রাক ডুবে গেছে। ট্রাক দুটিতে কয়েক লাখ টাকার ভুট্টা ছিল। ভুট্টার মালিক মালিক তো আমাকে ছাড়বে না। আমি কীভাবে কি করবো, ভেবে পাচ্ছি না।
উদ্ধারকারীদের একজন বলেন, ফেরিতে আর কোনো লোক নেই। লোক থাকলে স্বজনরা ঘাটে এসে আহাজারি করতো।
দুর্ঘটনার পর নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক বেহেনা আকতার, ফরিদপুর অঞ্চলের নৌ পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল জানান, দুর্ঘটনার কারণ জানতে দুটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটি রিপোর্ট পেশ করবেন। তদন্ত রিপোর্টে দুর্ঘটনার কারণ জানা যাবে।