পাবনায় পাঁচ বিড়াল হত্যার অভিযোগ: ময়নাতদন্ত শেষ
পাবনা প্রতিনিধি
পাবনার ঈশ্বরদীতে খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে ৫টি পোষা বিড়াল মেরে ফেলার ঘটনায় তদন্ত চলছে। বৃহস্পতিবার বিকালে ঈশ্বরদী প্রাণিসম্পদ ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে বিড়ালের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
তদন্ত শেষে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঈশ্বরদী থানার ওসি (তদন্ত) হাসান বসির। এর আগে বুধবার রাতে ঈশ্বরদী শহরের শেরশাহ রোড (কাঁঠালতলা) এলাকায় ৫টি পোষা বিড়াল হত্যার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওহিদুজ্জামান দুলাল নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন বিড়ালের মালিক স্বামী শেখ ওয়াহেদ আলী সিন্টুর স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা সায়েদা খায়রুন্নাহার।
বিড়ালগুলোর মালিক স্কুলশিক্ষিকা সায়েদা খায়রুন্নাহার জানান, তার বাসার পোষা পাঁচটি বিড়াল বুধবার বিকাল থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে রাতে পাশের বাড়ির ওহিদুজ্জামান দুলালের উঠানে তিনটি বিড়াল মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। বড় বিড়ালটি উঠানে বিষের যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল। বিড়ালটিকে বাড়িতে এনে ভেটেরিনারি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ইনজেনশন দেওয়া হয়। তারপরও বিড়ালটি বাঁচেনি। এছাড়াও আরেকটি বিড়ালের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে অভিযোগ জানালে ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক হাসান বসির ঘটনাস্থলে আসেন।
তিনি আরও বলেন, বিড়ালগুলোকে দুধ-ভাত খাইয়ে নিজের সন্তানের মতো পরম আদর-যত্নে লালন-পালন করেছি। বড় বিড়ালটির দুটি ছানা আছে। এর মধ্যে একটি বয়স মাত্র আটদিন। তার চোখ ফোটেনি। বিড়াল হত্যার মতো অমানবিক কাজ যে ব্যক্তি করেছেন তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
শেখ ওয়াহেদ আলী সিন্টু বলেন, পাশের বাড়ির ওহিদুজ্জামান দুলালের মুরগি বেজিতে নিয়ে যায়। সেজন্য তিনি একটি মরা মুরগি কেটে মাংস টুকরা টুকরা করে বাড়ির আঙিনার চারপাশে ছিটিয়ে দেন। আমাদের বাড়ির পোষা পাঁচটি বিড়াল সে মাংস খেয়ে মারা যায়। ইতিপূর্বেও তারা আমাদের বিড়াল হত্যা করেছিল, তাই এবারে থানায় অভিযোগ করেছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত অহিদুজ্জামান দুলাল বলেন, বেজির অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে বিষ মেশানো মুরগির মাংসের টুকরা করে ছিটিয়ে দিয়েছিলাম। সেগুলো খেয়ে বিড়ালগুলো মারা গেছে। তবে এটা আমি ইচ্ছাকৃতভাবে করিনি। বিড়ালগুলো মারা যাওয়ায় আমি নিজেও দুঃখিত।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, পাঁচটি বিড়াল হত্যা ঘটনার লিখিত অভিযোগ পেয়ে বিড়ালের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।