বগুড়ায় দুর্গাপূজার একমঞ্চে আওয়ামী লীগ-বিএনপি
নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া
বগুড়ার শেরপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার অনুষ্ঠানে একইমঞ্চে বসে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ-বিএনপির নেতারা। পাশাপাশি সম্প্রীতির এই মেলবন্ধন অটুট রাখার অঙ্গীকারও করেছেন তারা। এই সম্প্রীতি ধরে রাখলে শেরপুর ও ধুনট উপজেলাকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন নেতারা।
শুক্রবার সন্ধ্যারাতে শেরপুর শহরের স্যানাল বাড়ির মাঠে ঐতিহ্যবাহী টাউন বারোয়ারি পূজা মণ্ডপে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শারদীয় দুর্গাপূজার মহাষষ্ঠীতে এবারের আয়োজন ছিল উৎসব অঙ্গনের দ্বার উন্মোচন, মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, শারদ গীতি ও নৃত্যানুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাবিবর রহমান। এতে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব জানে আলম খোকা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শেরপুর পৌর বিএনপির সভাপতি স্বাধীন কুমার কুণ্ডু, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি তারিকুল ইসলাম তারেক, আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ইফতেখার শামিম, মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী ও পৌরসভার নারী কাউন্সিলর শারমিন আক্তার, লায়রা আরজুমান আরা লিলি, বিএনপি নেতা সৌমেন্দ্র নাথ ঠাকুর শ্যাম।
এছাড়াও সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এসএম রেজাউল করিম, শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা, পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) আজমগীর হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শিক্ষক তাপস বসাক।
দুর্গাপূজা অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাদের একই মঞ্চে বসে বক্তব্য দেওয়াকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল এক দৃষ্টান্ত বলে মন্তব্য করেছেন নানা শ্রেণীপেশার মানুষ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে সবধর্মের মানুষের অধিকার সমান। স্বাধীনভাবে যার যে ধর্ম তা নির্বিঘ্নে পালন করবেন, তাতে বাধা বা কারো কিছু বলার নেই। বিশেষ করে আবহমান কাল থেকেই শেরপুর উপজেলা সম্প্রীতির শহর বলে পরিচিত। এখানে কোনো সাম্প্রদায়িক হানাহানি নেই। হিন্দু-মুসলিম সবাই মিলে-মিশে শান্তিতে বসবাস করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি হাবিরর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দেশ গড়তে অঙ্গীকারবদ্ধ। সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশে বিরাজমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মেলবন্ধন অটুট রাখতে হবে। আর এই সম্প্রীতি ধরে রেখে শেরপুর ও ধুনট উপজেলাকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
এর আগে প্রধান অতিথি অন্যান অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে উৎসব অঙ্গনের দ্বার উন্মোচন করেন। এসময় বিএনপির নেতারাও তার পাশে ছিলেন।