বান্ধবীকে উদ্ধারে হাই কোর্টে মার্কিন তরুণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে বান্ধবীর যোগাযোগ বন্ধ রেখেছেন বাবা-মা। আটকেও রাখা হয়েছে ঘরে। তাই বাংলাদেশি বান্ধবীকে উদ্ধারে হাই কোর্টে রিট করেছিলেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক হারুন আসাদ মির্জা। তার এই রিটের শুনানি নিয়ে গতকাল আদেশ দিয়েছেন হাই কোর্ট। এদিন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাই কোর্ট বেঞ্চে হাজির করা হয় কক্সবাজারের ওই তরুণীকে। এই শুনানিকে কেন্দ্র করে আইনজীবীদের মধ্যেও দেখা যায় নানা কৌতূহল। পরে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই তরুণীর মোবাইল ফোন ফেরত দিতে বাবা-মাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তরুণীর ইচ্ছে অনুযায়ী তার পড়াশোনার সব সুযোগ করে দিতে বাবা-মাকে নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্ট। পাশাপাশি তার নিরাপত্তার বিষয়ে প্রতি মাসে খবর রাখা হবে বলেও আদালত জানিয়েছেন। আইনজীবীরা জানান, আদেশের আগে ওই তরুণী এবং তার বাবা-মায়ের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেছেন বিচারকরা। আদালতে ওইদিন রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তাসমিয়াহ নুহিয়া আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান। রিট আবেদনকারীর আইনজীবী তাসমিয়াহ নুহিয়া আহমেদ বলেন, ১৮ বছর বয়সি তরুণী বাংলাদেশি নাগরিক, আর রিট আবেদনকারী যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক (২২)। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেলেটির সঙ্গে মেয়েটির পরিচয় হয়। মেয়েটি কক্সবাজারে থাকতেন। পরিবারকে না জানিয়ে পড়াশোনার জন্য মেয়েটি গত ডিসেম্বরে ঢাকায় চলে আসেন। তিনি বলেন, মেয়েটির সন্ধান পেতে তার বাবা কক্সবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরবর্তী সময়ে মেয়েটি তার ওই বন্ধুকে (যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক) নিয়ে ঢাকায় একটি বেসরকারি আইনি সহায়তাপ্রদানকারী সংস্থায় যান। সেখানে গত ১০ ডিসেম্বর উভয়ের (মেয়েটি ও তার অভিভাবক) মধ্যে মধ্যস্থতা হয়। তবে মধ্যস্থতার সিদ্ধান্ত অনুসরণ না করে মেয়েটির বাবা তাকে নিয়ে কক্সবাজারে চলে যান।
মেয়েটির বন্ধু (মার্কিন নাগরিক) গত মাসের শেষ দিকে জানতে পারেন যে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই মেয়েটিকে তার বাবা বিভিন্ন ধরনের মানসিক ওষুধ সেবনে বাধ্য করেছিলেন। এ অবস্থায় প্রতিকার পেতে হাই কোর্টে রিট করেন মেয়েটির বন্ধু যুক্তরাষ্ট্রের ওই নাগরিক।