বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক : নাছিম
নিজস্ব প্রতিবেদক
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বাংলাদেশে ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনীতির সুযোগ আমরা দেব না। সন্ত্রাসীদের হাতে আমরা আর জিম্মি হয়ে থাকতে চাই না। আমরা জঙ্গিবাদ ও দুঃশাসনের মাধ্যমে দেশকে ধ্বংস হতে দিব না। বিএনপি-জামায়াত হলো সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক। এরা দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, আমাদের মহান সংবিধানকে পদদলিত করেছে।
বুধবার বিকেলে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত মিরপুর-১৪ নম্বরের জামিউল মাদ্রাসা ঈদগাহ মাঠে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন নাছিম।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় নাছিম বলেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত। তিনি এতিমদের টাকা মেরে খেয়েছেন। এই খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য তার লোক দিয়ে ১৯ বার হামলা করিয়েছে। খালেদা জিয়া ও তার কুপুত্র তারেক রহমান রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলা করিয়েছিল। বিএনপি-জামায়াতের প্রশ্রয় তখন সারা বাংলাদেশ জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়।
নাছিম বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের ঘাতকদের নেতা ছিলেন খুনি জিয়াউর রহমান।জিয়ার সাথে যখন ডালিম, ফারুকরা দেখা করতে যায় তখন সে বলে তোমরা এগিয়ে যাও। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যখন এ খবর জিয়ার কাছে পৌঁছায় তখন সে বলে সো হোয়াট! এই দুটি শব্দের মাধ্যমেই পরিষ্কারভাবে বুঝা যায় জাতির পিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকারী হলো খুনি জিয়া মোস্তাক গংরা।
তিনি বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর খুনি জিয়া এদেশে সামরিক আইন জারি করেছিল। তখন সে দেশে কারফিউজ জারি করে রেখেছিল। জিয়া গণতন্ত্রের নামে দেশে ভুয়া নির্বাচন করেছিল এবং এ নির্বাচনে চরম জালিয়াতি করে সে ভুয়া ভোটে বিজয়ী হয়। পার্লামেন্টে জাতির পিতার হত্যাকারীদের রক্ষা করার জন্য সে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করে এবং এটিকে আইনে পরিণত করে। জাতির পিতার হত্যাকারীদের সে বিদেশে পাঠিয়ে পুরস্কৃত করেছিল।
তিনি আরও বলেন, শোকের মাসে দাঁড়িয়ে আমরা শুধু শোক প্রকাশ করে বেঁচে থাকতে চাই না। আমরা শোকের মাসে শোককে শক্তিতে পরিণত করতে চাই। এই শক্তি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে যারা বাধা সৃষ্টি করবে তাদের প্রতিহত করবে। দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন উন্নয়ন অগ্রগতির পথে এগিয়ে চলছে তখন একটি গোষ্ঠী এই উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বাধা সৃষ্টি করতে চায়। তারা দেশের শাসন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে চায়। ধর্মকে ব্যবহার করে তারা রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়। তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নিজেদের ফায়দা লুটতে চায়। এই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে আমরা শোকের মাসে শোককে শক্তিতে পরিণত করে এদের মোকাবেলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।
ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. ইসহাক মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান নাঈমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু এবং সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু।
অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ, গ্রন্থণা ও প্রকাশনা সম্পাদক কে এম মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল সহ ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।