ব্যালন ডি’অর ও ফিফা দ্য বেস্ট বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে: রোনালদো

অনলাইন ডেস্ক

ব্যালন ডি’অর ও ফিফা দ্য বেস্ট পুরস্কারে আগের মতো আস্থা নেই ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। ছয় বছর আগে সর্বশেষ ব্যালন ডি’অর ও দ্য বেস্ট জেতা এই পর্তুগিজ তারকার দাবি, পুরস্কার দুটি বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলছে।

সদ্যই দুবাইয়ে গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ডে বছরের সেরা গোলদাতার পুরস্কার জিতেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ২০২৩ সালে ৫৪ গোল করে সবাইকে ছাপিয়ে তিনিই হয়েছে সর্বোচ্চ গোলদাতা। আর্লিং হলান্ড, কিলিয়ান এমবাপ্পে, হ্যারি কেইনদের সঙ্গে পাল্লা দিয়েছেন সিআর সেভেন।

অপরদিকে লিওনেল মেসি জিতেছেন ফুটবলে ব্যক্তিগত সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ দুটি পুরস্কার। ক্যারিয়ারের অষ্টম ব্যালন ডি’অর ও তৃতীয় ফিফা দ্য বেস্ট জিতেছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। তবে গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ডে সেরা গোলদাতার পুরস্কার জেতা রোনালদো কাছে এখন আর ব্যালন ডি’অর কিংবা ফিফা দ্য বেস্ট পুরস্কারের গুরুত্ব নেই। ফিফা এবং ফ্রান্স ফুটবলের দেওয়া এই পুরস্কারগুলো বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে বলেও দাবি করেছেন সিআর সেভেন।
গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ডে সেরা গোলদাতা হওয়ার জন্য ‘ম্যারাডোনা অ্যাওয়ার্ড’ জিতেছেন রোনালদো। পর্তুগিজ তারকার মতে, তার জেতা পুরস্কারটি পুরোপুরি পরিসংখ্যান নির্ভর, যেখানে ফিফা দ্য বেস্ট কিংবা ব্যালন ডি’অর দেওয়া হয়ে থাকে ভক্ত-সমর্থকদের ভোটে। তাই পরিসংখ্যান দিয়ে বিচার করে যে পুরস্কার দেওয়া হয় সেটিই বেশি গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন আল-নাসের ফরোয়ার্ড।

তিনি বলেছেন ‘ব্যালন ডি’অর ও ফিফা দ্য বেস্ট তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে। নাম্বার সবসময়ই সত্যি কথা বলে। আমি বলছি না যে মেসি এই পুরস্কারগুলোর প্রাপ্য না, এমনকি হালান্ড বা এমবাপ্পেও। কিন্তু আমাদেরকে পুরো মৌসুম নিয়ে বিশ্লেষণ করতে হবে। আমার এসব পুরস্কারের ওপর আর কোনো বিশ্বাস নেই।’

এরপর রোনালদো আরও বলেন, ‘এমন না যে আমি গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ডে জিতেছি বলে এসব বলছি। আপনি আমার নাম্বারগুলো দেখতে পারেন। তারাই আমার হয়ে কথা বলবে। আপনি আমার কাছ থেকে এই পুরস্কারটি কেড়ে নিতে পারবেন না কারণ নাম্বারগুলো সবাই দেখতে পাচ্ছে। আমি এখন আরও বেশি খুশি।’

২০২৩ সালে আল নাসরের হয়ে ৫৯ ম্যাচে ৫৪ গোল করেছেন রোনালদো। গত বছর এত গোল করতে পারেননি অন্য কেউ। তবে এত গোল করলেও ২০২৩ সালের ব্যালন ডি’অর বা ফিফা দ্য বেস্ট পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পাননি রোনালদো।

২০২২ ফিফা বিশ্বকাপের মাঝপথে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেন রোনালদো, বিশ্বকাপও ভালো যায়নি তাঁর। এই মুহূর্তে সৌদির লিগে করিম বেনজেমা, নেইমার, সাদিও মানে, রবার্তো ফিরমিনোসহ অনেক নামী খেলোয়াড় থাকলেও রোনালদো আল নাসরে নাম লেখানোর সময় লিগটি ইউরোপে আলোচনায়ই ছিল না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights