ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার, কাজাখস্তানে প্লেন দুর্ঘটনা নিয়ে রহস্য

অনলাইন ডেস্ক

পাখির ধাক্কা, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া, নাকি কোনো হামলা, এই নানাবিধ তত্ত্ব নিয়ে হইচইয়ের মধ্যেই দুর্ঘটনার শিকার আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের প্লেনটির দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করা হয়েছে শুক্রবার।

কাজাখ প্রশাসন জানিয়েছে, তদন্তের গতি বাড়ানো হয়েছে। ৪০০০ বর্গমিটার জায়গার মধ্যে ভেঙে পড়েছিল বিমানটি। সেই দুর্ঘটনাস্থল পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরা যাত্রী, প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গেও কথা বলে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। বিমান ভেঙে পড়ার আগে আকতু বিমানবন্দরের সঙ্গে পাইলটের শেষ কী কথোপকথন হয়েছিল, তা উদ্ধার করা হয়েছে বলে কাজাখ প্রশাসন সূত্রে খবর। সেগুলি বিশ্লেষণ করারও প্রক্রিয়া চলছে।

বিমান বিশেষজ্ঞদের দাবি, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের গায়ে যে গর্ত এবং বিমানটি যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার ধরন দেখে মনে করা হচ্ছে ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হয়েছিল সেটি। তাদের দাবি, ৯০-৯৯ শতাংশ সম্ভাব্য কারণ এটিই। আর এই ঘটনাকেই কেন্দ্র করে একটা টানাপড়েন শুরু হয়েছে। আজারবাইজান প্রশাসনও বিমানে হামলার তত্ত্বের উপর জোর দিয়েছে। সেই সঙ্গে এই হামলার দায় রাশিয়াকে স্বীকার করে নিয়ে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও তুলেছে।

বিমান দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে যখন নানা মহলে কাটাছেঁড়া চলছে, দুর্ঘটনার পর পরই আরও একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। সুবখোন রাখিমোভ নামে বেঁচে ফেরা এক যাত্রী সেই ভিডিওটি করেছেন। তিনি দেখিয়েছেন যে, বিমানের গায়ে অজস্র ছোট ছোট ছিদ্র। সঙ্গে কয়েকটি বড় গর্তও দেখা গেছে। তার দাবি, বিমানে পিছনের অংশে ছিলেন। তাই বেঁচে ফিরেছেন। বিমানটি আছড়ে পড়ে দু-টুকরো হয়ে গিয়েছিল। সামনের অংশ পুরো জ্বলে গিয়েছিল। পিছনের অংশ অক্ষত ছিল। আর সেই জায়গাতেই ছিলেন সুবোখন এবং তাঁর স্ত্রী।

বুধবার বাকু থেকে রাশিয়ার চেচনিয়ায় যাচ্ছিল বিমানটি। তাতে বিমানকর্মীসহ মোট ৬৭ জন যাত্রী ছিলেন। আকতু বিমানবন্দরের কাছে বিমানটি ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৮ জনের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights