মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ধ্বংসের জন্য উপযুক্ত অস্ত্র প্রস্তুত রেখেছি: হিজবুল্লাহ মহাসচিব
অনলাইন ডেস্ক
ভূমধ্যসাগরে মোতায়েন মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ধ্বংসের জন্য উপযুক্ত অস্ত্র প্রস্তুত আছে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ’র মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ।
তিনি বলেন, যুদ্ধ শুরুর পর ভূমধ্যসাগরে যুক্তরাষ্ট্র দুটি বিমানবাহী রণতরী এনেছে। কিন্তু এসব রণতরীকে হিজবুল্লাহ ভয় পায় না।
হুমকির সুরে তিনি বলেছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল লেবাননের কোনো বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করে তাহলে— একজন বেসামরিকের জন্য আরেকজন বেসামরিককে হত্যা করা হবে।
নাসরুল্লাহ বলেছেন, “যুদ্ধ শুরুর পর, যুক্তরাষ্ট্র ভূমধ্যসাগরে অবস্থানরত তাদের রণতরী থেকে লেবাননে বোমা হামলার হুমকি দিয়েছে। আমরা সবধরনের পরিস্থিতিরি জন্য প্রস্তুত।”
তিনি আরো বলেন, যদি পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরু হয়, আমেরিকানরা আপনারা আপনাদের যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান এবং সেনাদের মাধ্যমে এর মূল্য পরিশোধ করবেন।”
তিনি হুঁশিয়ারি দিলেন, “মনে করুন লেবানন এবং ইরাকে আপনাদের পরাজয় এবং আফগানিস্তান থেকে অপমানজনক সেনা প্রত্যাহার। যারা ১৯৮০ সালে আপনাদের লেবাননে পরাজিত করেছেন তারা এখনো বেঁচে আছেন। তাদের ছেলে ও নাতিরা আপনাদের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য প্রস্তুত আছেন।”
“ভূমধ্যসাগরে থাকা আপনাদের নৌবহর আমাদের ভীত করে না। যে জাহাজ দিয়ে আমাদের হুমকি দিচ্ছেন সেগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করতে আমরা প্রস্তুত আছি। যারা আঞ্চলিক যুদ্ধ থামাতে চান তারা গাজায় হামলা বন্ধ করুন, যোগ করেন নাসরুল্লাহ।
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এ যুদ্ধ শুরু করেছে এবং তারাই এটি থামাতে পারবে।
অপরদিকে ইসরায়েলকে হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, কোনো হুমকি-ধমকিতে তাদের থামানো যাবে না। যা হবে সেটি হলো এই যুদ্ধ বাড়বে।
লেবাননের উপর হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে ইসরায়েলের উদ্দেশ্যে নাসরুল্লাহ বলেন, “আমি ইসরায়েলকে বলছি: আর বাড়বেন না। অসংখ্য বেসামরিক মানুষ ইতোমধ্যে নিহত হয়েছে। আমি প্রতিজ্ঞা করছি: একজন বেসামরিকের জন্য আরেকজন বেসামরিককে হত্যা করা হবে।”
তিনি বলেছেন, গত ৮ অক্টোবর থেকেই আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে প্রবেশ করেছি। তবে যুদ্ধের এই পর্যায়েই আমরা সীমাবদ্ধ থাকবো না। যুদ্ধ আরো বিস্তৃত আকার ধারণ করবে।
তিনি আরো বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে লেবানন সীমান্তের যে অবস্থা তা কেবল তারাই উপলব্ধি করতে পারছেন যারা সীমান্তে রয়েছেন। প্রতিনিয়ত ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী সব ঘাঁটিতে নিখুঁতভাবে হামলা চালানো হচ্ছে। ৪৩ হাজার ইহুদি বসতি স্থাপনকারী উপশহরগুলো ছেড়ে চলে গেছে।
শুক্রবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক লাইভ ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
যেকোনো সময় যুদ্ধ বিস্তৃতি লাভ করতে পারে উল্লেখ করে হাসান নাসরুল্লাহ বলেন, “গত ৮ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে এ পর্যন্ত আমাদের ৫৭ জন যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।”
একই সঙ্গে তিনি লেবাননের জনগণকে যেকোনো ধরণের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সব অপশনই টেবিলে রয়েছে। সূত্র: প্রেসটিভি