রাজশাহীর মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন দায়িত্ব নেবেন ১৫ অক্টোবর

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

আনুষ্ঠানিকভাবে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন পুনরায় নির্বাচিত মেয়ার এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। আগামী রবিবার (১৫ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২টায় নগর ভবনের গ্রীন প্লাজায় অভিষেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোস্তাফিজ মিশু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বর্তমানে মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এ.বি.এম. শরীফ উদ্দিন।

বিধি অনুযায়ী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য গত ২১ মে মেয়রের পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন তিনি। এরপর ২১ জুনের নির্বাচনে পুনঃনির্বাচিত হন। এরপর ৩ জুন সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন প্রধানমন্ত্রীর কার্যাল‌য়ের শাপলায় আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে শপথবাক্য পাঠ করান। এরপরে সিটি করপোরেশনের সাধারণ ওয়ার্ডের ৩০ জন নবনির্বাচিত কাউন্সিলর ও ১০ সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলররাও একই স্থানে শপথ নেন। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম কাউন্সিলরদের শপথবাক্য পাঠ করান।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোস্তাফিজ মিশু বলেন, এর আগের নির্বাচনে অর্থাৎ ২০১৮ সালের সিটি নির্বাচনের পর ওই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর খায়রুজ্জামান লিটন শপথ নিয়েছিলেন। এর ঠিক এক মাস পর, অর্থাৎ ৫ অক্টোবর তিনি রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন।

সিটি করপোরেশন পরিচালনা বিধিমালা অনুযায়ী, নির্বাচিত নতুন মেয়র ও কাউন্সিলরদের দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম সাধারণ সভা যেদিন অনুষ্ঠিত হয়, সেদিন থেকে তাদের পাঁচ বছর মেয়াদকালের সীমা শুরু হয়। ২০১৮ সালে ওই পরিষদের প্রথম সভা হয়েছিল ১১ অক্টোবর। সেই হিসেবে নতুন পরিষদ শপথ নিলেও এ বছরের ১১ অক্টোবর পর্যন্ত আগের পরিষদের কাউন্সিলরদের মেয়াদ আছে। বর্তমান কাউন্সিলরা ১১ অক্টোবর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। তাই নিয়ম অনুযায়ী ১২ অক্টোবর থেকে যে কোন দিন নির্বাচিত সিটি মেয়র ও কাউন্সিলররা দায়িত্ব নিতে পারবেন।

এর আগে গত ২১ জুন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়৷ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এএইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ৬০ হাজার ২৯০ ভোট পেয়ে পুনঃনির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাওলানা মুরশিদ আলম। তার দল নির্বাচন বয়কট করলেও হাত পাখা প্রতীকে তিনি পেয়েছিলেন ১৩ হাজার ৪৮৩ ভোট। ভোটের হার ছিল ৫৬ দশমিক ২০ শতাংশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights