রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে সালমান শাহ গ্রুপের সদস্য গ্রেফতার, অস্ত্র উদ্ধার
আব্দুস সালাম, টেকনাফ (কক্সবাজার)
কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে সক্রিয় বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী গ্রুপ। ডাকাতি ছাড়াও তারা অপহরণ, ছিনতাই, মাদক ব্যবসায় জড়িত। এসব গ্রুপের মধ্য ‘সালমান শাহ গ্রুপ’ অন্যতম।
বৃহস্পতিবার ওই গ্রুপের অন্যতম সন্ত্রাসী মো. শফিকে গ্রেফতার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এর সদস্যরা।
গ্রেফতারকৃত সন্ত্রাসীর কাছ থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। মো. শফি টেকনাফ হ্নীলা নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি ব্লকের বাসিন্দা দিল মোহাম্মদের ছেলে।
এপিবিএন সূত্রে জানা যায়, ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ শফিকে ধরে আনার সময় পুলিশের ওপর হামলা হলে তার তিন সহযোগী নুরুল আমিন, ওমর ফয়সাল ও মেহের খাতুন মিন্নিকেও গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে টেকনাফ ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এর পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জামাল পাশা বলেন, ক্যাম্পে শীর্ষ সন্ত্রাসীর অবস্থানের সংবাদে এপিবিএনের একটি টিম অভিযান চালায়। এ সময় পালানোর চেষ্টাকালে মো. শফিকে (২৪) গ্রেফতার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ক্যাম্প থেকে একটি একনলা বন্দুক ও দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সন্ত্রাসী শফির বিরুদ্ধে থানায় হত্যা, মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এ ছাড়া সে ক্যাম্পের ত্রাস সালমান শাহ গ্রুপের অন্যতম সদস্য ছিল।
তিনি আরো বলেন, শফিকে নিয়ে আসার সময় তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে সালমান শাহ গ্রুপের অন্যান্য সদস্যরা।
এ সময় আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ক্যাম্পে অপরাধীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
রোহিঙ্গারা জানায়, ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ে বেশ কয়েকটি ডাকাত গ্রুপের সদস্যরা তাদের গোপন আস্তানা তৈরির চেষ্টা করছে। এরই মধ্যে কয়েকটি আস্তানা তৈরি হয়ে গেছে। শুধু ক্যাম্পের সাধারণ রোহিঙ্গাদের কাছেই নয়, কক্সবাজারে বসবাসকারী বাঙালি জনগোষ্ঠীর কাছেও এসব ডাকাত গ্রুপ আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের দ্রুত আইনের আওতায় না আনলে ক্যাম্পের পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ রূপ নিবে।