লিসবন দূতাবাসে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন

রনি মোহাম্মদ লিসবন, (পর্তুগাল থেকে)
বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবনে যথাযথ মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করেছে। বৃহস্পতিবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত সভায় প্রবাসী বাংলাদেশিগণ, গণমাধ্যম কর্মীগণ, দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতেই পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ ও দূতাবাসের কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। অতঃপর, শহীদ বুদ্ধিজীবী, জাতির পিতা, তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহীদ সদস্য ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

এরপর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্য ও গুরুত্ব তুলে ধরে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ।
রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ তার বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে তিনি বলেন, একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাত থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময়জুড়েই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনী। তবে বিজয়ের প্রাক্কালে এ হত্যাযজ্ঞ ভয়াবহ রূপ নেয়। দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে স্বাধীন বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে পরিকল্পিতভাবে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাক বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনী বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের চোখ বেঁধে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে তাঁদের নির্যাতনের পর হত্যা করে। আর এ কাজে তাদের সহযোগিতা করেছিল দেশীয় দোসররা। পাক বাহিনী ও তাদের দোসরদের উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে তা নিশ্চিত করা।

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, দেশের মুক্তির জন্য রণাঙ্গনে ঝাঁপিয়ে পড়তে বাঙালি জাতিকে উজ্জীবিত করার ক্ষেত্রে বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। রাষ্ট্রদূত শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রেখে যাওয়া আদর্শ ও পথকে অনুসরণ করে একটি অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights