শীতে হাজার কোটি টাকার কম্বলের বাণিজ্য
আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার নশরৎপুর ইউনিয়নের শাঁওইল হাটে প্রতি বছর চাদর-কম্বল বিক্রি হয় প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার। শাঁওইল হাটের চাদর-কম্বল সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। সরকারি ঋণ ও সহযোগিতা পেলে বাংলাদেশ থেকে এখানকার পণ্য বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা পুরনো সোয়েটারের সুতা, ঝুট থেকে বাছাই করা সুতা দিয়ে নতুন করে বুনানো সস্তা কম্বল-চাদর পাইকারিভাবে কিনে নিয়ে যান। এখানকার কম্বল-চাদর সারা দেশে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। নতুন সুতা দিয়ে বুনানো এ অঞ্চলের তাঁতিদের চাদর-কম্বল এখন বিদেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে। পুরনো সুতা বাছাই ও উল্টা চড়কায় সোয়েটারের সুতা খোলার কাজে বগুড়া, জয়পুরহাট ও নওগাঁ অঞ্চলের প্রায় ১০ হাজার নারী-পুরুষ কর্মসংস্থানের পথ পেয়েছে। বগুড়াকে নতুন করে পরিচয় করেছে শাঁওইল হাটের তৈরি বিখ্যাত কম্বল ও চাদর। জানা যায়, চার দশকেরও আগে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার নশরৎপুর ইউনিয়নের শাঁওইল বাজারকে ঘিরে ঝুট কাপড় থেকে সুতা আর সেই সুতা দিয়ে সোয়েটার, মাফলার, চাদর, তোশকের কভার ইত্যাদি তৈরির ব্যবসা শুরু হয়েছিল। সীমিত আকারে শুরু হওয়া সে ব্যবসা এখন বগুড়াসহ চার জেলার শতাধিক গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে। তাঁতশিল্প মালিক ও ব্যবসায়ীদের দাবি, বর্তমানে বগুড়া, জয়পুরহাট, নওগাঁ ও গাইবান্ধা জেলায় ১০ হাজারের বেশি হস্তচালিত তাঁতকল রয়েছে। আর বিদ্যুৎচালিত তাঁতকল আছে ১ হাজার ৫০০। শাঁওইল গ্রামের তাঁতি মর্জিনা বেগম জানান, ৩০ বছর ধরে তিনি তাঁতের কাজ করছেন। প্রতিদিন ভোর থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত চলে তার কাজ।
তিনি দিনে ৯ থেকে ১০টি কম্বল তৈরি করেন।