সংঘাত সৃষ্টি করে বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় যেতে চায় : বাহাউদ্দিন নাছিম
নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, ‘বিএনপি-জামায়াত হলো সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী। এরা ধর্মের নামে রাজনীতি করে। এরা হিন্দু মুসলিমের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করে, দেশকে বিভক্ত করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়। বাংলাদেশের মানুষের মাঝে সংঘাতের রাজনীতি সৃষ্টি করে বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় যেতে চায়। এরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী না। এরা স্বৈরতন্ত্রের ওপর ভর করে আমাদের নেত্রীকে উৎখাত করতে চায়’।
আজ সোমবার দুপুরে মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘বিএনপি জামায়াত নতুন করে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। তারা সমাবেশের নামে বিভিন্ন জায়গায় হামলা করছে। নির্বাচন এলেই এরা নানা টালবাহানা শুরু করে। কারণ, তারা জানে তাদের জনসমর্থন নেই। জনগণ তাদের ভোট দেবে না। তাই তারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টায় লিপ্ত। এরা বিদেশি প্রভুদের কাছে নালিশ করে দেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতাকে বিনষ্ট করতে চায়। এরা কখনো দেশের ভালো চায় না’।
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত খুনিদের চক্র আবারও নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। একাত্তরের ঘাতকদের সঙ্গে, পঁচাত্তরের ঘাতকদের সঙ্গে একাকার হয়ে বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। কীভাবে শেখ হাসিনাকে উৎখাত করা যায় তারা সে চেষ্টায় আছে। আমাদের প্রিয় বাংলাদেশে তারা আফগানিস্তানের মতো তালেবানি শাসন কায়েম করতে চায়। বাংলাদেশে পাকিস্তানের সন্ত্রাসীদের মতো, পাকিস্তানে যেমন গণতন্ত্র বারবার স্বৈরতান্ত্রিক শক্তির কাছে বন্দী হয়, আমাদের বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে অশুভ শক্তির কাছে বন্দী করার জন্য বিএনপি জামায়াত চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে’।
নাছিম বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই হবে। কোনো পরাশক্তি তা প্রতিহত করতে পারবে না। যদি কেউ প্রতিহত করার চেষ্টা করে তাহলে তার জবাব দেওয়া হবে। আওয়ামী লীগ অস্ত্রের জবাব খালি হাতে দেবে না। নেতাকর্মীদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। খুনি, দুর্নীতিবাজ বিএনপি-জামায়াতের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। কোনোভাবেই তাদের হাতে দেশকে ছেড়ে দেওয়া যাবে না’।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে ভয় দেখিয়ে কেউ টিকে থাকতে পারেনি। খুনি জিয়া-মোস্তাক গংরাও উৎখাত হয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তার কন্যা শেখ হাসিনা দায়িত্ব নিয়ে দীর্ঘ ২১ বছর লড়াই সংগ্রাম করেছেন। তিনি মাঠে ময়দানে ঘুরে বেরিয়েছেন। মৃত্যু ভয়কে উপেক্ষা করে তিনি মানুষের কাছে গিয়েছেন। বিএনপি জামাতিরা তাকে ২১ বার হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে। তিনি বেঁচে যাওয়ায় আজ বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোলমডেলে পরিণত হয়েছে। তিনি আমাদের বিশ্ব দরবারে সম্মানিত করেছেন। বিশ্ব দরবারে শেখ হাসিনা এক অনন্য নাম। পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে জাতিসংঘ পর্যন্ত শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের সব থেকে জনপ্রিয় নেত্রী হিসেবে বিবেচনা করে’।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘নেতাকর্মীদের কারণেই জাতির পিতার আদর্শের পতাকা সমুন্নত রয়েছে। আপনাদের জন্য নৌকা মার্কা বিজয়ী হয়। সকলে মিলে শেখ হাসিনার পেছনে থেকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে যাব। আমরা কাউকে ভয় করি না। নেতাকর্মীদের ওপর আঘাত করে আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করা যায় না। শেখ হাসিনা বারবার বলেন, ‘যারা আওয়ামী লীগের তৃণমূল তারা আমার শক্তি। এই শক্তির বলে বলীয়ান হয়ে আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে আবার শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করতে হবে’।
রাজৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সেকেন্দার আলী শেখের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জমির খার সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে।