সখীপুরে ৩১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বহুতল ভবন, উন্নত অবকাঠামোয় পাঠদান

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

গ্রামের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও ক্লাস করে চারতলা বিশিষ্ট উন্নত ভবনে। সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বদলে গেছে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর একাডেমিক ভবন। এ উপজেলার ৩১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বহুতল ভবন নির্মাণ করেছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। উন্নত অবকাঠামোর সৌন্দর্য দেখে ঝড়েপড়া শিক্ষার্থীরাও বিদ্যালয়মুখী হচ্ছে বলে জানায় একাধিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘদিনের পুরাতন ও শিক্ষার্থীবহুল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জরাজীর্ণ কোনো টিনের ঘর নেই। নতুন তিনতলা ও চারতলা বিশিষ্ট উন্নত একাডেমিক ভবন। প্রতিটি কক্ষে রয়েছে বিদ্যুতিক পাখা, লাইট, ডিজিটাল ও আইসিটি ক্লাস নেয়ার উপযুক্ত এবং আকর্ষণীয় পরিবেশ। বিশাল সেমিনার রুম, এটাস্ট বাথরুম এবং প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে সাজানো হয়েছে সায়েন্সল্যাব, লাইব্রেরি, কমন রুম এবং কম্পিউটার ল্যাব। চারতলা বিশিষ্ট প্রতিটি ভবনে এক সাথে প্রায় পাঁচশত শিক্ষার্থীর ক্লাস নেয়ার সুযোগ রয়েছে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষরা।

হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. রহিজ উদ্দিন বলেন, লেখাপড়ার জন্য ভালো পরিবেশ দরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চারতলা ও তিনতলা ভবন তৈরি করে শিক্ষার জন্য উন্নত একটি পরিবেশ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। এ জন্য আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞ।
উপজেলা শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তর সূত্রে যানা যায়, ২০১৮-১৯ সাল থেকে সখীপুরের ১০টি স্কুলে চারতলা, ৫টি মাদ্রাসা চারতলা, ১০টি স্কুল ও কলেজে তিনতলা করে একাডেমিক ভবন নির্মাণ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। এছাড়া চারতলা ভিতসহ একতলা ভবন নির্মিত হয়েছে ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এভাবে ৩১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। কয়েকটি ভবনের সামান্য কাজ বাকি থাকলেও কিছু দিনের মধ্যেই শেষ হবে বলে জানায় উপজেলা শিক্ষা প্রকৌশল কর্মকর্তা।

মুন্তাজনগর আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন বলেন, গ্রাম্য এলাকার স্কুলে চারতলা ভবন হবে কেউ স্বপ্নেও কল্পনা করি নাই। এ ভবনের কারণেই এখন শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিছু দিন আগেও এই এলাকার ছাত্র-ছাত্রীরা শহরের স্কুলে ভর্তি হতো। এ বছর স্কুলে অনেক শিক্ষার্থী। এজন্য বঙ্গবন্ধুর কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমরা অনেক কৃতজ্ঞ।

সখীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কাইয়ূম হুসাইন বলেন, রোদ, বৃষ্টি, ঝড়-তুফান যাই থাকুক না কেন সমস্যা নাই। চারতলা এই ভবনের কারণে ছাত্র-শিক্ষকদের ক্লাস নিয়ে দৌড়ঝাপ করতে হয় না। নারী শিক্ষার অন্যতম এই স্কুলে চারতলা ভবন পেয়ে আমরা খুবই আনন্দিত ও সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ।

উপজেলা শিক্ষা প্রকৌশল কর্মকর্তা মো. নূরুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রাম হবে শহর’ প্রধানমন্ত্রীর এই ভিশন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সারা দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় টাঙ্গাইলের সখীপুরে ৩১টি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় বহুতল ভবন নির্মিত হয়েছে। বেশিরভাগ ভবনই হস্তান্তর করা হয়েছে। অল্প কয়েকটি ভবনের কাজ প্রায় শেষের দিকে। হয়তো কিছুদিনের মধ্যেই সেগুলো হস্তান্তর করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights