সাত বছর বয়সে ওরা কুরআনের হাফেজ!
নিজস্ব প্রতিবেদক
গাজীপুরের রহমানিয়া ইনস্টিটিউট থেকে সাত বছর বয়সে কোরআনের হাফেজ হয়েছে হাফেজ ওসমান গনি। তার গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের কালীগঞ্জে। ১১ মাস অধ্যায়ন করে হয়েছেন ৩০ পারার হাফেজ।
হাফেজ হুজাইফা হাসানের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায়। সেও হাফেজ হয়েছে মাত্র সাত বছর বয়সে। ঢাকার মিরপুরের মারকাজুল কোরআন আল ইসলামিয়া থেকে দুই বছর কোরআন অধ্যায়ন করে পুরো কোরআন শরীফ মুখস্ত করে সে।
এছাড়াও হাফেজ আহমদ সফি হয়েছেন সাত বছর বয়সে কুরআনুল কারীমের হাফেজ। তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে। ঢাকার পান্থপথের আলবাব ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি থেকে সে হাফেজ হয়েছে। পুরো কোরআনের হাফেজ হতে তার সময় লেগেছে মাত্র সাত মাস।
দেশের সর্ববৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় বায়তুল মোকাররমের জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত ঢাকা উত্তর জোনের ‘কোরআনের নূর পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা’ প্রতিযোগিতার বাছাইপর্বে অংশগ্রহণ করেছে এই তিন ক্ষুদে হাফেজ।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের পূর্ব প্রান্তে শুরু হয়েছে বাছাইপর্বের অডিশন।
হাফেজদের সর্ববৃহৎ মিলন মেলা জাতীয় হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতার আয়োজক সূত্র বলছে, বুধবার সকাল থেকে দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় ঢাকার উত্তর অংশের কয়েকশ মাদরাসা থেকে হাফেজরা অংশগ্রহণ করবে। সর্বোচ্চ বয়সসীমা ১৫ বছর পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ ৩০ পারার হাফেজে কুরআনরা এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। এ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকারী পাবে ১০ লক্ষ টাকা, দ্বিতীয় স্থান অধিকারী পাবেন সাত লক্ষ টাকা, তৃতীয় স্থান অধিকারীকে প্রদান করা হবে পাঁচ লক্ষ টাকা, চতুর্থ ও পঞ্চম পুরস্কারপ্রাপ্ত হাফেজকে প্রদান করা হবে দুই লক্ষ টাকা করে।
খুদে হাফেজ হুজাইফা হাসানের শিক্ষক ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া ইসলামিয়া মহামাদিয়া আশরাফুল মাদরাসার হাফেজ মিজানুর রহমান বলেন, এত কম সময় হাফেজ হওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে আল্লাহতালার কুদরত ছাড়া আর কিছুই নয়। আমাদের দেশে অনেকে এক মাসের মধ্যেও হাফেজ হয়েছেন। অনেক ছাত্র আছেন যারা মাদরাসায় ভর্তি হওয়ার পর একমাস পড়ালেখা করেই শিক্ষকদের বলেছেন ‘হুজুর আমার পুরো কোরআন শরীফ মুখস্ত হয়েছে, শুনতে পারেন’ এভাবে অনেককে হাফেজ হতে দেখেছি।
বসুন্ধরা গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় কুরআনের হাফেজদের এই প্রতিযোগিতার আয়োজন সম্পর্কে তিনি বলেন, বাংলাদেশে এর আগে যতগুলো প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতায় এ ধরনের আয়োজন হয়েছে তার মধ্যে বসুন্ধরা গ্রুপের আয়োজন সবচেয়ে বৃহৎ ও সেরা। অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এত হাফেজ উপস্থিত হতে দেখিনি। বসুন্ধরা গ্রুপের এই আয়োজনে আমরা কৃতজ্ঞ। দেশের সর্ববৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান হওয়ায় বসুন্ধরার ডাকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সব মাদরাসার কর্তৃপক্ষ ও হাফেজরা এ প্রতিযোগিতায় সাড়া দিয়েছে।
এর আগেও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার বিভিন্ন আয়োজনে এই তিন খুদে হাফেজ অংশ নিয়ে সুনাম কুড়িয়েছে বলে জানা গেছে।